রবিবার, অক্টোবর ১, ২০২৩

অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে ডেঙ্গু পরিস্থিতি

সিসিএন অনলাইন ডেস্ক:

জুলাইয়ের তুলনায় আগস্ট এবং সেপ্টেম্বরে পরিস্থিতি আরো খারাপের আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের।

এরই মধ্যে মৃত্যুর দিক থেকে ছাপিয়ে গেছে বিশ্বের সকল দেশকে। চলতি বছর বাংলাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুরহার প্রতি হাজারে ৫ দশমিক ৪৫।

অন্যদিকে, কাছাকাছি অবস্থানে থাকা পেরুতে মৃত্যুহার প্রতি হাজারে ১ দশমিক ৪৩। ১৫ লাখ ছাড়িয়ে সর্বোচ্চ আক্রান্তের দেশের অবস্থান দখল করা ব্রাজিলে মৃত্যুহার শূন্য দশমিক ২৫। মৃত্যুর জন্য দেরি করে হাসপাতালে আসাকে দায়ী করছেন চিকিৎসকরা। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর আগেও অধিকাংশ মানুষের ডেঙ্গু হওয়ায় এবার দ্বিতীয় কিংবা তৃতীয়বারের আক্রান্তদেরই জটিলতা বেশি।

এতে রাজধানীসহ দেশের হাসপাতালগুলোর চিত্রও করুণ। রোগীর চাপ সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে। অবস্থা এমন যে, একটি মাত্র শয্যার আশায় হাসপাতাল ছাড়ার আগেই সিটের পাশে অন্য রোগীর অপেক্ষা।

ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রোগীর চাপ বাড়ায় হাসপাতালগুলোতে বাড়তে শুরু করেছে সংকট। শয্যা না পেয়ে অনেকেই মেঝেতেও নিচ্ছেন চিকিৎসা।

তবে চলতি বছর সবথেকে আতঙ্কের বিষয়টি হচ্ছে ডেঙ্গু আক্রান্তদের দ্রুত শারীরিক অবস্থার অবনতি।

চলতি বছর সারাদেশে এরই মধ্যে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১৭ হাজার এবং মারা গেছেন ৯০ জনের বেশি। তবে মৃত্যুর এই পরিসংখ্যান ছাড়িয়ে গেছে বিশ্বের সকল দেশকে।

দেশে এতো মৃত্যুর জন্য দেরি করে হাসপাতালে আসাকে দায়ী করছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হক। তিনি বলেন, জ্বর আসার পর সাধারণ ভেবে ওষুধ খেতে থাকে। চিকিৎসকের কাছেও যায় না। কিন্তু যখন ডেঙ্গু ধরা পড়ে তখন অনেক সময় পেরিয়ে যায়। ফলে হাসপাতালে আসার পরও অনেক রোগী মারা যায়।

মৃত্যুর জন্য বিগত বছরের তুলনায় এবার ডেঙ্গু হেমোরোজিক ফিবার ও শক সিনড্রোমকে দায়ী করে রোগী ও স্বজনদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ও প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ইমেরিটাস অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ।

আরও

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সর্বশেষ খবর