শহিদুর রহমান রাফি- সিসিএন
বহুল প্রতীক্ষিত ঈদগাঁও উপজেলার নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় ইতিমধ্যে অস্থায়ীভাবে স্থাপিত হয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যেই উদ্বোধন হবে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়।তার পর থেকেই শুরু হবে উপজেলার বিভিন্ন স্থরের কার্যক্রম।
২২ জুলাই ২০১৯ ঈদগাঁওকে উপজেলা ঘোষণার জন্য কক্সবাজার জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রেরণ করা হয়। পরবর্তীতে, ২৬ জুলাই ২০২১ প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির (নিকার) সভায় ঈদগাঁওকে স্বতন্ত্র উপজেলা হিসেবে অনুমোদন দেওয়া হয়।পূর্বে এটি কক্সবাজার সদর উপজেলার আওতাধীন ছিলো। ঈদগাঁও থানা ও ইউনিয়নের সাথে মিল রেখে উপজেলার নামকরণ করা হয়।
ঈদগাঁও উপজেলা সদর দপ্তর স্থাপনের জমি অধিগ্রহণের বিষয় নিয়ে এক প্রতিনিধি হাই কোর্টে রিট মামলা দায়ের করেন, পরে গত ১ জুন মহামান্য হাইকোর্ট উক্ত রিট মামলা খারিজ করে দিলে আবার সেই জনপ্রতিনিধি আপিল বিভাগে আবেদন করেন, পরে হাইকোর্টে শুনানি শেষে বিচারপতি নো অর্ডার দিয়ে রায় দেন।
ইতিমধ্যেই ঈদগাঁও উপজেলার জন্য বরাদ্দ দেওয়া শুরু করেছে, উপজেলায় নিরাপদ পানি সরবরাহ, স্যানিটেশন ও ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনা সম্প্রসারণের জন্য পনের কোটি পঁচানব্বই লক্ষ ত্রিশ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। দ্রুত গতীতে চলমান থাকবে উপজেলা বিভিন্ন স্থরের কার্যক্রম।
ঈদাগাঁও উপজেলার (অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রাপ্ত) নির্বাহী অফিসার বলেন, কার্যালয়ে ডেকোরেশন এর কাজ শেষ হলে অফিসিয়াল কার্যক্রম দ্রুতগতিতে চলবে।
এ নিয়ে ঈদগাঁও উপজেলার জনসাধারণের মাঝে আনন্দ উল্লাস বিরাজ করছে, উপজেলার জনসাধারণ বলেন, আগে আমাদের নাগরিক সেবার জন্য ৩৩ কিলোমিটার দূরে কক্সবাজার যেতে হতো, এখন আর সেখানে যেতে হবে না, আমাদের হাতের নাগলেই পেয়ে যাচ্ছি নাগরিক সেবা। তারা আরো বলেন দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন এই ঈদগাঁও উপজেলা, অবশেষে উপজেলার কার্যক্রম শুরু হতে চলছে, এনিয়ে আমরা অনেক খুশি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সহ উপজেলার পেছনে যারা অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন তাদের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।