সিসিএন প্রতিবেদকঃ
বেলা গড়িয়ে যখন সূর্য ডোবার দিকে যায় তখন বিশে^র দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকতের বালুর চরে ইফতার আয়োজন নিয়ে বসেন অসংখ্য রোজাদার। সমুদ্রের ঢেউয়ের পাশে প্রিয় বন্ধু বা প্রিয়জনের সাথে ইফতার করতে কেউ কেউ বসে পড়েন ঢেউয়ের একদম সর্বশেষ অংশের পাশে। মুহুর্তটিকে রঙিন করে রাখতে থাকেনা আয়োজনে কমতি।
ইফতারের ঠিক আগমুহুর্তে যদি দৃশ্যটি চোখে পড়ে মনে হবে যেনো পুরো সৈকতই ইফতারের জন্য নির্ধারিত স্থান।
কিন্তু ইফতারের আগে রোজাদারের ভীড়ে মনোরম হয়ে উঠা সৈকত ইফতারের পর ধারণ করে ভয়ংকর রূপ। হয়ে উঠে আবর্জনার ভাগাড়।
আলিশান রোজাদারেরা খায়েশ মেটাতে গিয়ে সৈকতের পরিবেশের বারোটা বাজিয়ে ছাড়েন। ইফতার সামগ্রি বহনে ব্যবহৃত প্লাস্টিক বর্জ্য, পানির বোতল, খাবারের উচ্ছিষ্টাংশে অনেকটা ডাস্টবিন হয়ে যায় সৈকত। এক সময় জোয়ারের পানিতে সেই বর্জ্যগুলো মিশে যায় সাগরে। এরফলে সৈকতের সৌন্দর্য যেমন নষ্ট হচ্ছে তেমনি দূষিত হচ্ছে সাগর। বিষয়টিকে নৈতিকতার অবক্ষয় বলছেন স্থানীয় ও পর্যটকদের। পাশাপাশি অদক্ষ বীচ ম্যানেজম্যান্ট কমিটিকেও দোষছেন তারা।
পরিবেশকর্মীরা বলছেন, ইফতার করা দোষের কিছুনা। কিন্তু ইফতার শেষে ময়লা আবর্জনা ফেলে আসা বিবেকবর্জিত কাজ। পরিবেশ দূষণকারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ তাদের।
সাময়িক মানসিক স্বস্তি বা বিনোদনের জন্য পবিত্র রমজান মাসে ইফতারের মতো গুরুত্বপূর্ণ একটি আয়োজনের মধ্য দিয়ে সৈকতকে দূষণ করা মেনে নেওয়ার মতো নয় বলে দাবী সচেতন মহলের।