সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
ঈদগাঁও উপজেলার ইসলামাবাদ ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড খোদাইবাড়ী এলাকায় প্রবাসীর মোজাম্মেল হকের বসতভিটা জবরদখলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্তরা হলেন,মৃত আলী আকবর ড্রাইভারের পুত্র সেলিম আকবর, ছৈয়দ নুরের পুত্র মোহাম্মদ ইউনুছ চৌধুরী, মৃত ফজল করিমের পুত্র ছৈয়দ নুর।
গতকাল শনিবার (১১মে) ঈদগাঁওয়ের একটি হলরুমে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী প্রবাসী মোজাম্মেল হকের পরিবার।
ভুক্তভোগী প্রবাসি মোজাম্মেল হকের পুত্র কলেজ প্রভাষক মামুনুর রশীদ বলেছেন, গত ৫০ থেকে ৬০ বছর ধরে বসবাসরত আমার বাবার পৈত্রিক বসতভিটায় হঠাৎ সেলিম আকবরের নেতৃত্বে একদল ভূমিদস্য সিন্ডিকেট তাদের কাছে আমাদের জায়গা বিক্রি করার জন্য হুমকি দেয়। আমরা জায়গা বিক্রি না করায় গত ২০২৩ সালের ২৯ ডিসেম্বর রাত আনুমানিক সাড়ে ১০ টায় আমাদের বসতভিটায় ভাংচুর করে দখলে নেয়। আমরা অসহায় তাদের শক্তির কাছে ওই মুহুর্তে আমাদের বসতভিটা রক্ষা করতে পারিনি। এই ঘটনায় ৩০ ডিসেম্বর-২৩ ইং তারিখে ঈদগাঁও থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করি এবং স্হানীয় এমইউপি ও গম্যমান ব্যক্তিবর্গের মধ্যস্থতায় সমাধানের চেষ্টা করলে ব্যর্থ হলে আমার পিতা মোজাম্মেল হক বাদী হয়ে এম.আর ৭৩/২৪ইং মামলা দায়ের করেন এবং পরবর্তীতে ঈদগাঁও সিনিয়ন জুডিশিয়াল মেজিট্রেট আদালত নতুন ভুমি আইনে সি.আর মামলা নং ৯১/২৪ দায়ের করেন যা এখনও তদন্তাধিন।
এ বিষয়ে জমি ভুক্তভোগী প্রবাসী মোজাম্মেল হক বলেছেন,আমার পিতার মোহাম্মদ হোসেন তার পিতা ফজল করিম হতে ওয়ারিশ মূলে এবং নূর আহমদ ও জাগির হোছেন থেকে ক্রয়কৃত জায়গায় ভোগদখলে থাকায় বাবার নামে বি.এস ৬৬৭০ এবং ৭০০২ খতিয়ান সৃজিত হয় উক্ত খতিয়ান হতে বিগত ১৪/০৮/২০১৪ ইং তারিখে ৩১৯২ নং হেবাদলিল মূলে ০.১৪৮৭ একর জমির মালিক হয়। উক্ত জমিতে শান্তিপূর্ণভাবে ভোগদখলে পর্যাপ্ত থাকা অবস্থায় আমার নামে নামজারী ও জমাভাগ ৪৪১০/২০১৪ ইং মামলায় বিগত ২৯/১২/২০১৪ ইং তারিখের আদেশ মোতাবেক সৃজিত বিএস ৯০৯৮ নং খতিয়ানভুক্ত হয় এবং জমির বাকী অংশ সৈয়দ নুর ওয়ারীশসূত্রে তাহার প্রাপ্ত অংশ হয়ইতে বিগত ২৮/০১/২০১৬ ইং তারিখে রেজিঃযুক্ত ৩৫০ নং কবলাদলীল মূলে ০.০১৬০ একর জমি ক্রয় করে শান্তিপূর্ণভাবে ভোগদখলে থাকা অবস্থায় আমার নামে নামজারী ও জমাভাগ ২৪৮৯/২০১৬ ইং মামলায় বিগত ২৮/১২/২০১৬ ইং তারিখের আদেশ মোতাবেক সৃজিত বিএস ১০২৮২ নং খতিয়ানভুক্ত হয়।এখানে সৈয়দ নূরের অংশের জায়গা ২০১৬ সালে মোজাম্মেল হককে রেজিস্ট্রি মূলে বিক্রি করে দখল বুঝিয়ে দিলেও ২৯ ডিসেম্বের ঘটনার দিন তিনি আবার সেই অংশদখল করে নেন বলে অভিযোগ মোজাম্মেল হকের।
ভুক্তভোগী মেজাম্মেল হক আরোও বলেন,দায়েরকৃত মামলাটির ঈদগাঁও থানার ওসিকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হলে তিনি উভয় পক্ষেট বক্তব্য শুনেন তবে অজানা কারণে তিনি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলে কালক্ষেপণ করছেন। জায়গাটি অভিযোক্তদের কাছে বিক্রি করে দেওয়ার জন্য আমাকে নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে। আমি ও আমার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমাদের নিরাপত্তার জন্য প্রশাসনের সহযোগীতা কামনা করছি।
অভিযোগের বিষয়ে জানার জন্য অভিযুক্ত সেলিম আকবরকে ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বার ০১৮১৯৯৫০২০৩ যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।