বার্তা পরিবেশক:
কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালীতে ইয়াবা পাচারের দৃশ্য দেখে ফেলায় বাজার কমিটির সভাপতির উপর সংঘবদ্ধ হামলা করেছে ইয়াবা ব্যবসায়ীরা। হামলায় বাজার কমিটির সভাপতি আলমগীর ও আসিফ নামে আরও একজন গুরুতর আহত হয়েছে। এ ঘটনায় উখিয়া থানায় মামলা দায়ের করেছে ভুক্তভোগীর পরিবার।
অভিযোগে বলা হয়- উখিয়ার পালংখালীর বালুখালী সীমান্ত দিয়ে ইয়াবা আনার সময় চক্রটিকে দেখে ফেলেন আলমগীর। তারপর বালুখালীর শিহালিয়া পাড়ার মৃত ইয়াকুব আলীর ছেলে জসিম উদ্দিনের নেতৃত্বে ফরিদ আলম ওরফে চিয়ক ফরিদ (৩৭), বালুখালী জুমেরছড়া এলাকার মৃত ছৈয়দ মোস্তফার ছেলে নুরুল আলম (৪৫), পশ্চিম বালুখালীর নুরুল আলম প্রকাশ নুরু মাষ্টারের ছেলে তারেকুর রহমান (৩০), ফরিদ আলমের ছেলে মুফিদুল আলম (৩৪), মৃত মোহাম্মদ ইউসূফের ছেলে নুর আলম (৩৮), মৃত মোহাম্মদ ইব্রাহীমের ছেলে মোহাম্মদ ওসমান (৪০, মৃত মৌলভী কবিরের ছেলে মো. নাসিমুল কবির (৩২), নুরুল হকের ছেলে নুরুল ইসলাম প্রকাশ ভুলাইয়া (৩৩) ও শিয়ালিয়া পাড়ার আকবর আহমদের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (২৮) সংঘবদ্ধ ভাবে আলমগীরের উপর হামলা চালায়। তাকে বাঁচাতে আসলে আসিফকেও মারধর করে ইয়াবা পাচারকারী চক্রটি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র বলছে- আসামী জসিমের নেতৃত্বে বালুখালী সীমান্ত ঘিরে গঠিত হয়েছে এই ১০ জনের সিন্ডিকেট। যারা মূলত মিয়ানমার থেকে ইয়াবা, আইস বাংলাদেশে নিয়ে এসে বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করে। সেরকমই এক ইয়াবার চালান প্রবেশ করছিলো। ঘটনাক্রমে তা দেখে ফেলেন বালুখালী বাজার কমিটির সভাপতি আলমগীর আলম। তারপর সংঘবদ্ধ চক্রটি গিয়ে তার উপর হামলা চালায়। এখন তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
গুরুতর আহত আলমগীরের স্ত্রী রুমা আকতার বলেন- বাজার কমিটির দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে ইয়াবার ব্যবসায়ীরা আমার স্বামীকে টার্গেট করে। কারণ বাজারের উপর দিয়ে অবৈধ কোনোকিছু দেখলে বাঁধা দিতেন। যার কারণে মাদক পাচারকারীরা সংঘবদ্ধ হামলা চালিয়েছে। আমি আসামীদের সঠিক বিচার চাই।
মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামীম হোসেন বলেন- ঘটনার ছায়া তদন্ত শেষে মামলা রেকর্ড হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।