ইউসুফ বিন হোছাইন, চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি:
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়া পৌরসভা অংশের ১ কিলোমিটার এলাকার ফুটপাত থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। মহাসড়কের পাশের এই ফুটপাত দখল করে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা করছিলেন শতাধিক হকার। সোমবার ৯ অক্টোবর সকালে উপজেলা প্রশাসন ও পৌরসভার যৌথ অভিযানে ফুটপাত উচ্ছেদ করা হয়।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেপি দেওয়ান। এ সময় চকরিয়া পৌরসভার মেয়র আলমগীর চৌধুরী, পৌরসভার সচিব মাসউদ মোরশেদ ও চাকরিয়া থানার উপ-পরিদর্শক এসআই কামরুলের নেতৃত্বে একটি থানা পুলিশের টিম উপস্থিত ছিলেন।
চকরিয়া পৌর শহরের পুরাতন বাস কাউন্টার এলাকা থেকে এশিয়ান হাসপাতাল এলাকা পর্যন্ত কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফুটপাত দখল করে প্রতিদিন শতাধিক হকার বিভিন্ন পণ্যের পসরা নিয়ে বসতেন। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যা হতো পথচারীদের। ফুটপাত ছেড়ে সড়কের ওপর দিয়ে চলতে হতো। ফলে ঘটতো নানা দুর্ঘটনা।
অভিযানের পর পৌর এলাকার বাসিন্দা কামাল উদ্দিন বলেন , হকার উচ্ছেদের ফলে ফুটপাত দিয়ে স্বাচ্ছন্দ্যে চলাচল করা যাচ্ছে। তবে উচ্ছেদ হওয়া হকার নাজির আহমদ বলেন, অল্প পুঁজিতে ফুটপাতে বসে ব্যবসা করা যায়। পরিবার পরিজন নিয়ে দু’বেলা খাবার খাইতে পারি। যদি হকারদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা করা হয় পেটে ভাতে বাঁচতাম।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেপি দেওয়ান বলেন, পৌর শহরের ফুটপাত দখলমুক্ত করতে দুইদিন ধরে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন ও মাইকিং করা হয়। কিছু হকার ফুটপাত ছেড়ে দিলেও বেশির ভাগ হকার ফুটপাত না ছাড়ার কারণে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। যেকোনো উপায়ে ফুটপাত দখলমুক্ত রাখা হবে।
এবিষয়ে চকরিয়া পৌর মেয়র আলমগীর চৌধুরী বলেন; চকরিয়া পৌরশহরকে যানজটমুক্ত রাখতে এই প্রচেষ্টা চলমান থাকবে। জনদুর্ভোগ সৃষ্টিকারীদের প্রতিহত করা হবে। পাশাপাশি পৌর এলাকার সকল নাগরিকদের এ-বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে।