রবিবার, অক্টোবর ১, ২০২৩

উত্তাল সমুদ্রে গোসল করছেন পর্যটকরা

সাইদুল ফরহাদ:

বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের প্রভাবে উত্তাল হয়ে উঠেছে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত। জোয়ারের পানির উচ্চতা স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। বড় বড় ঢেউ আছড়ে পড়ছে উপকূলে। কিন্তু তাতেও বসে নেই ভ্রমণে আসা পর্যটকরা। তারা পানিতে নেমে গোসল করছেন।

শুক্রবার (৯জুন) সকাল থেকে কক্সবাজার শহরে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। কক্সবাজার উপকূলকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

শনিবার (১০জুন) বিকেলের দিকে সৈকতের লাবনি পয়েন্টে গিয়ে দেখা গেছে, অসংখ্য পর্যটক সমুদ্রে দৌড়ঝাঁপ দিচ্ছেন। কেউ কেউ টিউবে গা ভাসিয়ে চলে যাচ্ছেন গভীর সাগরের দিকে। সৈকতের সি-গাল, সুগন্ধা, কলাতলী পয়েন্টেও একই দৃশ্য। লাইফ গার্ডের সদস্যরা নানা চেষ্টা করেও তাদের থামাতে পারছে না। তবে তারা বলছেন টুরিস্ট পুলিশের তৎপরতা না থাকার কারণে এসব পর্যটক উত্তাল সমুদ্রে গোসল করছেন।

সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের নিরাপত্তায় নিয়োজিত সি লাইফ গার্ডের সদস্যরা বলেন, পর্যটকদের সামলানো কঠিন। কেউ কারও কথা শুনছেন না। সাগর যে উত্তাল সেটা কারো কানে যায় না। তবুও আমরা সতর্ক।

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সমুদ্রে গোসলে নামা প্রসঙ্গে ঢাকা মিরপুর থেকে আসা ইয়াকুব নামক এক পর্যটক বলেন, বন্ধুদের সাথে কক্সবাজার ঘুরতে আসছি। রাতে চলে যাবো। চলে যাওয়ার আগে একটু গোসল করে নিলাম। তবে সাগরের ঢেউ যে এত উত্তাল হবে সেটা জানা ছিল না। আমাদের হলুদ টি শার্ট পরা কয়েকজন লোক নিষেধ করেছিল।

শারমিন নামক আরেক পর্যটক বলেন, এত বড় ঢেউ আগে দেখেনি জীবনেও। এটা প্রথমবার। স্বামীর সাথে আসছিলাম গোসল করতে কিন্তু সাগরের পরিস্থিতি খারাপ দেখে সৈকতে নামতে আর ইচ্ছে করছে না।

কক্সবাজার নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব এইচ এম নজরুল ইসলাম বলেন, এই মূহুর্তে সাগর খুবিই উত্তাল। সাগরে গোসল করতে নামা মানে মৃত্যু ডেকে আনা।পর্যটকদের সতর্ক করতে টুরিস্ট পুলিশের তৎপরতা দরকার। কিন্তু বাস্তবে তা আমরা দেখতে পাচ্ছি না।

কক্সবাজার পর্যটক সেলের ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম বিল্লাহ বলেন, সাগর উত্তাল থাকায় লাল পতাকা দিয়ে সাগর উত্তাল যে সেটা বুঝানো হয়েছে। আমাদের বীচ কর্মীরা মাইকিং করে সমুদ্র থেকে তুলে দেওয়া হচ্ছে। পর্যটকদের নিরাপত্তায় আমরা সবসময় প্রস্তুত।

আরও

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সর্বশেষ খবর