সিসিএন অনলাইন ডেস্ক:
বেকাররা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে চাকরির আবেদন করলে সরকার এত দিন মূল্য সংযোজন কর (মূসক বা ভ্যাট) নিত না। তবে এখন থেকে অনলাইনে সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত চাকরির জন্য আবেদন করার সময় প্রার্থীদের কাছ থেকে আবেদনের ফি’র ওপর মূল্য সংযোজন কর (মূসক) আদায় করা হবে। প্রথমবারের মতো চাকরির আবেদনের ফি’র সঙ্গে ভ্যাট আদায়ের এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। চাকরির আবেদন মাশুলের সঙ্গে ভ্যাটের হার বসিয়ে সম্প্রতি নতুন প্রজ্ঞাপন জারি করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ।
তবে বৃদ্ধির পরিমাণ খুব বেশি নয়। ভ্যাট আরোপিত হবে মূলত পরীক্ষার মাশুলের (ফি) সার্ভিস চার্জের (টেলিটক বাংলাদেশের কমিশন) ওপর ১৫ শতাংশ। দুই প্রজ্ঞাপন মিলিয়ে দেখা যায়, ফি বৃদ্ধি করা হয়নি, শুধু ভ্যাট আরোপিত হয়েছে; যার কারণে আবেদনকারীদের ব্যয় কিছুটা বাড়বে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, নবম গ্রেড ও তদূর্ধ্ব (নন-ক্যাডার) পদের জন্য আবেদন ফি হবে ৬০০ টাকা, দশম গ্রেডের জন্য ৫০০, ১১-১২তম গ্রেডের জন্য ৩০০, ১৩-১৬তম গ্রেডের জন্য ২০০ এবং ১৭-২০তম গ্রেডের জন্য ১০০ টাকা।
নতুন প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, টেলিটকের মাধ্যমে ফি ৬০০ টাকা দিতে হলে চাকরিপ্রার্থীর কাছ থেকে ১০ শতাংশ কমিশন হিসেবে অতিরিক্ত ৬০ টাকা এবং কমিশনের ১৫ শতাংশ ভ্যাট হিসেবে আরও ৬ টাকা নেয়া হবে। অর্থাৎ আবেদনকারীকে ৬০০ টাকা ফির সঙ্গে অতিরিক্ত আরও ৬৬ টাকা দিতে হবে। আগে আবেদন ফির ওপর ১০ শতাংশ কমিশন নেয়ার বিধান থাকলেও কোনো ভ্যাট আদায় করা হতো না।