সিসিএন অনলাইন ডেস্ক :
কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি আবু মোরশেদ চৌধুরী খোকাকে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সিবলুল করিম নামে এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) কক্সবাজার সদর মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন বলে জানান তিনি।
সাধারণ ডায়েরি সূত্রে জানা গেছে, বুধবার (৮ নভেম্বর) দুপুর ২ টার দিকে কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের অফিস সহকারী আব্দুল মালেক নাঈমকে ফোন করে সভাপতি আবু মোরশেদ চৌধুরীকে খোকাকে উদ্দেশ্যে করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে সিবলুল করিম নামে ওই ব্যবসায়ী। এক পর্যায়ে মুঠোফোনে খোকাকে হত্যার হুমকি দেন তিনি।
মুঠোফোনে হত্যার হুমকি দেওয়ার কিছুক্ষণ পর মারমুখী অবস্থায় শহরের বাজারঘাটা আবু সেন্টারস্থ কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের কার্যালয়ে গিয়ে আবু মোরশেদ চৌধুরী খোকাকে খোঁজার চেষ্টা করেন সিবলুল করিম। ওই সময় তাকে না পেয়ে আশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করে চলে যান।
আবু মোরশেদ চৌধুরী খোকা জানান, সিবলুল করিম তাকে যখন খুঁজতে যান তখন তিনি পাশের আরেকটি অফিসে মিটিং করছিলেন। সেই কারণে তিনি প্রাণে বেঁচে গেছেন। বিষয়টি চেম্বার সিনিয়র সহসভাপতি সাবেদূর রহমান সুমু এবং সহসভাপতি আবদুল খালেককে সাথে সাথে অবগত করেন। পরে চেম্বারের পরামর্শ অনুযায়ী, জীবনের নিরাপত্তায় তিনি কক্সবাজার সদর মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।
চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩-২৫ সালের নির্বাচনের জন্য গঠিত নির্বাচন কমিশন ও আপিল বোর্ড গঠন করা হয়। তফশিল ঘোষণার পর থেকে যে কয়জন সদস্যপদ নবায়ন করতে ব্যর্থ হয় তাদের ভোটার তালিকায় নাম আসে নাই। এটি সম্পূর্ণ নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ার হলেও ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়া কয়েকজন সদস্য ক্ষুব্ধ হয় বর্তমান সভাপতি আবু মোরশেদ চৌধুরী খোকার উপর।
নির্বাচন বানচালসহ প্রাণনাশের হুমকি-ধমকি এবং চেম্বার এর মালামাল লুট করে নেয়ার বিষয়ে প্রকাশ্যে বিভিন্নজনকে বলে আসছিলেন।
এরই অংশ হিসেবে গত ১ নভেম্বর খোকা চট্টগ্রামে অবস্থান করায় কক্সবাজার শহরের পানবাজার সড়কের ডা. আবু বকর ছিদ্দিকের ছেলে সিবলুল করিম ও পূর্ব টেকপাড়া এলাকার ফারুকের ছেলে ইমদাদুল হক বহিরাগত সন্ত্রাসীদের নিয়ে বাজারঘাটাস্থ চেম্বার কার্যালয়ের কক্ষে প্রবেশ করে অফিস সহকারীকে লকারের চাবি দিতে বলেন।
কিন্তু তিনি দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় তালা ভেঙ্গে বোর্ড রেজ্যুলেশন, সার্টিফিকেট বই এবং হিসাবে খাতা লুট করে নিয়ে যায় তারা। সেই কাগজপত্র ফেরত দেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করায় সভাপতিকে মেরে ফেলার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেন চেম্বারের পরিচালকরা।