শনিবার, জানুয়ারি ১৮, ২০২৫

কক্সবাজার জেলা পুষ্টি সমন্বয় কমিটির বাৎসরিক কর্মশালায় অনুষ্ঠিত

বার্তা পরিবেশক:

কক্সবাজার জেলা পুষ্টি সমন্বয় কমিটির মাসিক সভা ও বাৎসরিক পুষ্টি কর্মপরিকল্পনা পর্যালোচনা কর্মশালা ৪ এপ্রিল বেস্ট ওয়েস্টান হেরিটেজ হোটেলে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা পুষ্টি সমন্বয় কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন জেলা পুষ্টি সমন্বয় কমিটির সদস্য সচিব সিভিল সার্জন ডা: মোঃ মাহবুবুর রহমান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ইউনিসেফের প্রতিনিধি রায়হানা ভুঁইয়া। এতে পুষ্টি সমন্বয় কমিটির সকল পর্যায়ের সদস্যরা বক্তব্য রাখেন।

ইউনিসেফের সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত উক্ত মাসিক সভা ও বাৎসরিক কর্মশালায় বক্তারা বলেন, সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, জনস্বাস্থ্য-২ প্রজ্ঞাপনের আলোকে দ্বিতীয় জাতীয় পুষ্টি কর্মপরিকল্পনা কার্যক্রম বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এবং পুষ্টি সমন্বয় কমিটি গঠনের পরিকল্পনা ঘোষনার মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকার জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বহুখাত ভিত্তিক পুষ্টি কার্যক্রম গুলোর সমন্বয় সাধন ও পরিবীক্ষন নিশ্চিত করছে। এটি একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। পুষ্টি সমন্বয় কমিটির নেতৃত্বের মাধ্যমে মাঠ পর্যায়ে বহুখাতের অংশগ্রহনে পুষ্টি কার্যক্রম বাস্তবায়িত হচ্ছে। জাতীয় পুষ্টি নীতিমালা, পুষ্টি কার্যক্রম ও বাস্তবায়ন কৌশল
সম্পর্কে “দ্বিতীয় জাতীয় পুষ্টি পরিকল্পনায় সার্বিক দিক নির্দেশনা দেওয়া আছে। এর সাথে সরকারের মোট ২২টি মন্ত্রনালয় সম্পৃক্ত। জেলা পর্যায়ে কর্মকর্তারা কক্সবাজার জেলার পুষ্টির পরিস্থিতির সার্বিক দিক বিবেচনা করে প্রত্যেক্ষ ও পরোক্ষ পুষ্টি কার্যক্রম বাস্তবায়নের মাধ্যমে জেলার পুষ্টি
মানের উন্নত করতে সক্ষম হবে ।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে ১৯৭৫ সালে ২৩শে এপ্রিল“বাংলাদেশ জাতীয় পুষ্টি পরিষদ” গঠিত হয়। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (SDG) ২০৩০ এর অন্যতম একটি লক্ষ্য হচ্ছে “দারিদ্র নির্মূল, খাদ্য নিরাপত্তা অর্জন ও উন্নত পুষ্টি নিশ্চিত করা এবং টেকসই কৃষি এগিয়ে নেয়া”। ২০২৫ সাল
নাগাদ পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের খর্বতা ও কৃষকায়সহ সব ধরনের অপুষ্টি দূরীকরণ এবং কিশোর, গর্ভবর্তী ও স্তনদায়ী মা ও বয়স্ক নাগরিকের পুষ্টি চাহিদা পূরনের জন্য আন্তর্জাতিক ভাবে সহমতে পৌছানো অন্যতম লক্ষমাত্র। জেলা পুষ্টি কমিটির কর্ম পরিধির অংশ হিসেবে জেলা পুষ্টি সমন্বয় কমিটির সভা করা ও জেলা বাৎসরিক পুষ্টি কর্মপরিকল্পনা
প্রনয়ণ পরবর্তী অগ্রগতি পর্যালোচনা করা এবং প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করা। ইতি মধ্যে ১২টি বিভাগের সহায়তায় জেলা বার্ষিক পুষ্টি কর্মপরিকল্পনা তৈরী করে বাংলাদেশ জাতীয় পুষ্টি পরিষদে পাঠানো হয়েছে। বিভাগ গুলোর মধ্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ, কৃষি সম্প্রাসারন, মৎস্য, প্রাণী সম্পদ, খাদ্য, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল, শিক্ষা, প্রাথমিক ও গণ শিক্ষা, মহিলা ও শিশু বিষয়ক, সমাজ সেবা, তথ্য ও সম্প্রচার এবং সমবায় বিভাগ। তারই পরিপেক্ষিতে জেলা পুষ্টি সমন্বয় কমিটির সভার মাধ্যমে পুষ্টি কর্মপরিকল্পনা সমূহের ৬ মাসিক (জুলাই-ডিসেম্বর, ২০২২ইং) অগ্রগতি পর্যালোচনার মাধ্যমে অর্জন সমূহ উপস্থাপন করা এবং ঘাটতি সমূহ পর্যালোচনা করে পারস্পরিক/আন্তঃ বিভাগীয় সহযোগীতার ক্ষেত্র
সমূহ খুঁজে বের করার মাধ্যমে কর্মপরিকল্পনা সফল বাস্তবায়নের দিক নির্দেশনা প্রনয়ন করা । বর্তমানে কক্সবাজার জেলায় শিশুর অপুষ্টি চিত্রের মধ্যে ৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের মধ্যে বয়সের তুলনায় উচ্চতা কম অর্থাৎ খর্বাকৃতির হার ৩৫% যা জাতীয় পর্যায়ের চেয়ে ৭% বেশী, বয়সের তুলনায় ওজন কম অর্থাৎ কম ওজনের শিশুর হার ২৯% যা জাতীয়
পর্যায়ের চেয়ে ৬% বেশি (MICS-2019) । অপুষ্টির এ অবস্থায় উন্নতির লক্ষ্যে সকল বিভাগের যৌথ অংশগ্রহনে কাজ করা অত্যাবশ্যক। জেলার পুষ্টির সকল সূচক উন্নতির লক্ষ্যে সরকারী সকল বিভাগের সাথে উন্নয়ন সহযোগী সংগঠন সমুহের আরো দায়িত্বশীল অংশগ্রহন আশা করছি।
পুষ্টি অবস্থা উন্নয়নে কক্সবাজার জেলা রোল মডেল হিসেবে কাজ করবে যা সকলের সমন্বিত প্রয়াসের অংশীদার হবে।

আরও

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সর্বশেষ খবর

error: Content is protected !!