সিসিএন অনলাইন ডেস্ক:
কক্সবাজার শহরে কলাতলী দক্ষিণ আদর্শ গ্রামে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে রাত ১২টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত রোহিঙ্গা শ্রমিক দিয়ে পাহাড়ের মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল। ফলে এলাকার জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়েছে। সারা রাত মাটি কাটার যন্ত্রের শব্দে অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ। এ ছাড়া পাহাড়ধসের আশঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন এলাকাবাসী।
বুধবার সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কলাতলী
দক্ষিণ আদর্শ গ্রাম এলাকার দুর্গম পাহাড়টির পশ্চিম অংশের অন্তত ১০ শতক জায়গার মাটি কেটে নেওয়া হয়েছে। সমতল করা একটি অংশে পাকা বাড়ি নির্মাণের কাজ চলছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রাতের আঁধারে পাহাড়ের মাটি কেটে নিয়ে যায় স্থানীয় এক ব্যক্তি। সে দীর্ঘদিন ধরে পাহাড় কাটায় আশপাশের কয়েকটি বসতবাড়ি ঝুঁকির মুখে রয়েছে। একই সাথে পাহাড়ের মাটিতে ভরাট হয়ে গেছে এলাকার নালাও। সমাজের লোকজন প্রতিবাদ করলেও কোনো কাজে আসছে না।

পাহাড় কাটার সত্যতা নিশ্চিত করে পূর্ব কলাতলী দক্ষিণ আদর্শগ্রামসমাজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ সুমন।
সুমন বলেন- জনৈক আহসান উল্লাহ দীর্ঘদিনধরে পাহাড় কাটছে। তাকে অনেক বার বাঁধা দেওয়া হয়েছিল পাহাড় না কাটতে। কিন্তু সে কারো কথা শুনে না। তার পাহাড়ের মাটি এসে পুরো এলাকার নালা ভরাট হয়ে গেছে দীর্ঘদিন ধরে। বর্তমানে একপাশে পাহাড় কাটছে অন্যপাশে স্থাপনা তৈরি করে যাচ্ছে। পাহাড় কাটা আড়াল করতে কয়েকদিন আগে রাতারাতি তৈরি করেছে একটি ঝুপড়ি ঘরও।

এদিকে পাহাড় কর্তনের ফলে ভূমিকম্পের সময় পুরো ধসে যাওয়ার শঙ্কা আছে বলে বিশেষজ্ঞরা আতঙ্ক প্রকাশ করেছেন।
এই বিষয়ে কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা আব্দুল ছালাম বলেন, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এই বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে ।