শনিবার, ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২৫

কানে ব্যান্ডেজ নিয়ে দলের সম্মেলনে ট্রাম্প

সিসিএন অনলাইন ডেস্কঃ

ডান কানে বড় ব্যান্ডেজ নিয়েই রিপাবলিকান দলের জাতীয় সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

নির্বাচনী সমাবেশে হামলার শিকার হওয়ার পর সোমবার (১৫ জুলাই) উইসকনসিন অঙ্গরাজ্যের মিলওয়াকিতে প্রথম জনসমক্ষে আসেন রিপাবলিকান এই নেতা।

মঙ্গলবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, স্থানীয় সময় রাত ১০টায় রিপাবলিকানদের জাতীয় সম্মেলনের ভেন্যু মিলওয়াকিতে পৌঁছান ট্রাম্প। ভেন্যুতে পৌঁছেই সতীর্থ ও সমর্থকদের উদ্দেশ্যে হাত নেড়ে ধন্যবাদ জানান তিনি।

ট্রাম্পকে দেখে তার সমর্থরা স্লোগান দিতে থাকে, ‘ফাইট! ফাইট! ফাইট! বলে। মুষ্টিবদ্ধ হাত উঁচিয়ে আবারও সাহস যোগান দলকে।

এদিন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে রিপাবলিকান পার্টির চূড়ান্ত মনোনয়ন পেয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। মিলওয়াকিতে দলটির জাতীয় সম্মেলন সদস্যরা ভোটের মাধ্যমে ট্রাম্পকে আনুষ্ঠানিকভাবে চূড়ান্ত মনোনয়ন দেন।

ট্রাম্প কতটা জনপ্রিয় তার প্রমাণ মেলে ভোটাভুটিতে। প্রায় আড়াই হাজার প্রতিনিধির সবকটি ভোটই পেয়েছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট। কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকলেও প্রয়োজনীয় সংখ্যক ১ হাজার ২১৫টি ভোটের দরকার ছিল ট্রাম্পের। নিজের ছেলে এরিক ট্রাম্প যখন ফ্লোরিডার প্রতিনিধিদের ভোটের ফলাফল ঘোষণা করেন তখনই চূড়ান্ত হয়ে যায় ট্রাম্পের প্রার্থিতা। তুমুল করতালি, হর্ষধ্বনি ও বাদ্য বাজিয়ে ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানান সবাই।

ডোনাল্ড ট্রাম্পই প্রথম ব্যক্তি যিনি যুক্তরাষ্ট্রে তিনবার প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হচ্ছেন। মার্কিন সংবিধান অনুযায়ী কেউ পরপর দুইবার প্রেসিডেন্ট হলে তিনি আর প্রার্থী হতে পারেন না। ২০১৬ সালে হিলারি ক্লিনটনকে হারিয়ে প্রথম প্রেসিডন্ট হন ট্রাম্প। পরের বার ২০২০ সালে বর্তমান ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছে হেরে যান। আর এই সুযোগটিই কাজে লাগান ট্রাম্প। ২০২৪ সালের জন্য রিপাবলিকান পার্টির হয়ে আবারও নির্বাচনে প্রার্থী হন।

একই দিন ট্রাম্প নিজের রানিং মেট হিসেবে ওহাইওর সিনেটর জেডি ভ্যান্সের নাম ঘোষণা করেন। পরে রিপাবলিকান ডোলিগেটরা ৩৯ বছর বয়সি তরুণ এই রাজনীতিককে ভোট দিয়ে তার মনোনয়ন চূড়ান্ত করেন।

শনিবার সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে আমেরিকার পেনসিলভানিয়ায় নির্বাচনী সমাবেশে বক্তৃতা দেয়ার সময় যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপর বন্দুক হামলা চালানো হয়। গুলিতে ট্রাম্পের কান ফুটো হয়ে যায়। এই হামলায় অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান তিনি। হামলায় সন্দেহভাজন হামলাকারীসহ দুজনের মৃত্যু হয়েছে।

আরও

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সর্বশেষ খবর

error: Content is protected !!