সিসিএন অনলাইন ডেস্কঃ
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা এরই মধ্যে শপথ গ্রহণ করেছেন। ৩৬ সদস্যের মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা শপথ গ্রহণ করবেন বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি)। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে ২৫ মন্ত্রী ও ১১ প্রতিমন্ত্রীর নাম প্রকাশ করা হলেও কে কোন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাচ্ছেন সেটি এখনো প্রকাশ করা হয়নি।
মন্ত্রিপরিষদের নবনিযুক্ত সদস্যদের সন্ধ্যায় শপথ বাক্য পাঠ করাবেন রাষ্ট্রপতি মো.সাহাবুদ্দিন। এরপর তারা নিজ নিজ শপথবাক্যে স্বাক্ষর করবেন। পরে প্রধানমন্ত্রী নবনিযুক্ত মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীদের মধ্যে দফতর বণ্টন করবেন।
কে কোন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাচ্ছেন সে বিষয়টি নিয়ে চলছে জল্পনা-কল্পনা। সচিবালয় এবং রাজনৈতিক বিভিন্ন সূত্রে দফতর বণ্টন নিয়ে পাওয়া তথ্য বলছে, পূর্বের মন্ত্রিসভার অনেক সদস্য এবারের মন্ত্রিসভায় স্থান পেলেও দফতর বণ্টনে আসছে বড় রকমের পরিবর্তন।
সূত্রগুলো জানাচ্ছে, গাজীপুর-১ আসন থেকে নির্বাচিত আ. ক. ম. মোজাম্মেল হক পাচ্ছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব। তিনি এর আগেও একই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন। এছাড়া ওবায়দুল কাদেরও আগের মন্ত্রণালয় সড়ক পরিবহন ও যোগাযোগের দায়িত্ব পাচ্ছেন।
এছাড়া বর্তমান মন্ত্রিসভায় তথ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা ড. হাছান মাহমুদ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। এ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পেতে পারেন ঢাকা-১৭ আসন থেকে নির্বাচিত মোহাম্মদ এ আরাফাত। তবে আসাদুজ্জামান খান কামাল আগের মতোই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করবেন।
কিশোরগঞ্জ-৬ আসন থেকে নির্বাচিত নাজমুল হাসানকে দেয়া হতে পারে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব। বর্তমানে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা ডা. দীপু মনিকে দেয়া হতে পারে কৃষি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপ-মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পূর্ণ মন্ত্রিত্ব পেতে পারেন।
এদিকে, গোপালগঞ্জ-১ আসন থেকে নির্বাচিত মুহাম্মদ ফারুক খান পাচ্ছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা নসরুল হামিদ বিপু একই মন্ত্রণালয়ের পূর্ণ মন্ত্রির দায়িত্ব পেতে পারেন।
এছাড়া সাবের হোসেন চৌধুরী বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়, তাজুল ইসলাম স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এবং আবুল হাসান মাহমুদ আলী পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেতে পারেন।
টেকনোক্র্যাট কোটায় ডা. সামন্ত লাল সেন পেতে পারেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব এবং স্থপতি ইয়াফেস ওসমান আবারও থাকতে পারেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে।
বিভিন্ন সূত্র থেকে মন্ত্রিসভার দায়িত্ব বণ্টন সংক্রান্ত এসব তথ্য পাওয়া গেলেও দফতর বণ্টনের ব্যাপারে নিশ্চিত হতে আরও কিছুটা সময় অপেক্ষা করতে হবে।