সিসিএন অনলাইন ডেস্কঃ
কোরবানির ঈদ মানেই টেবিলে গরু আর খাসির মাংসের বাহারি পদের ছড়াছড়ি। গরু বা খাসির মাংসকে রেড মিট বা লাল মাংসও বলা হয়ে থাকে। যতই স্বাস্থ্যের খাতিরে চিকিৎসকের বিধিনিষেধ থাকুক না, চোখের সামনে মাংসের বাহারি পদ দেখলে লোভ সামলানো দায়।
লাল মাংসে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান থাকে। কিন্তু তাই বলে অতিরিক্ত লাল মাংস খাওয়া একদম অনুচিত। কারণ এতে বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বিশেষ করে যাদের ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, কিডনি, হৃদরোগের সমস্যা আছে, তাদের জন্য অতিরিক্ত মাংস খাওয়া তো একদমই উচিত না।
একজন পূর্ণবয়স্ক এবং সুস্থ মানুষ নিজ শরীরের প্রতি কেজির জন্য ০.৮ থেকে ১ গ্রাম পর্যন্ত প্রোটিন গ্রহণ করতে পারবেন। অর্থাৎ কারোর ওজন যদি হয় ৬০ কেজি, তাহলে তিনি খেতে পারবেন ৪৮ থেকে ৬০ গ্রাম পর্যন্ত প্রোটিন। তবে আবার মেয়েদের পিরিয়ড চলাকালীন কিংবা গর্ভবতী অবস্থায় এই পরিমাণ প্রায় দ্বিগুণ হয়ে যাবে। অর্থাৎ আদর্শ ওজন ৫০ কেজি হলে তারা ১০০ গ্রাম পর্যন্ত প্রোটিন খেতে পারবেন।
ব্যক্তিভেদে ও রোগ অনুযায়ী একজন মানুষ প্রতিদিন ২ থেকে ৩ টুকরো মাংস খেতে পারবেন। বিশেষ কোনো রোগ থাকলে অবশ্যই পুষ্টিবিদের পরামর্শ অনুযায়ী খেতে হবে। যেমন কিডনি রোগীর ক্ষেত্রে এক টুকরো হতে পারে মাংসের পরিমাণ।
কিন্তু অতিরিক্ত মাংস খেলে কী হয়?
গরুর মাংসে সোডিয়ামের পরিমাণ বেশি থাকে। ফলে অতিরিক্ত মাংস খেলে রক্তচাপ বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে।
গরুর মাংসে থাকা কোলেস্টেরল শিরায় জমে রক্ত চলাচলা বাধা দেয়। এতে হৃদরোগ ও হার্ট অ্যাটাকের আশংকা বেড়ে যায়।
অতিরিক্ত গরুর মাংস খেলে ডায়রিয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য কিংবা অ্যালার্জিজনিত জটিলতা দেখা দিতে পারে।
বাড়তি গরুর মাংস খেলে ক্যানসারের মতো রোগের ঝুঁকিও বেড়ে যায়।