সিসিএন অনলাইন ডেস্কঃ
বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের প্রায় মূল ভূখণ্ডের সমান নিজস্ব জলসীমা রয়েছে, যার আয়তন ১ লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গকিলোমিটার। মাছ ধরা, সমুদ্রপথে মালামাল পরিবহন ও তেল–গ্যাস উত্তোলন ছাড়া জাতীয় অর্থনীতিতে এই বিশাল আয়তনের জলসীমার অবদান সীমিত। কিন্তু সাগরতলে শহর ও বাড়ি নির্মাণসহ নতুন নতুন উদ্ভাবনী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বঙ্গোপসাগরকে ঘিরে দেশের সুনীল অর্থনীতিতে সম্ভাবনার নতুন দুয়ার খুলতে পারে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। পৃথিবীর প্রায় এক চতুর্থাংশ মানুষ সাগরের ওপর নির্ভরশীল। সাগর টিকে না থাকলে এই পৃথিবীতে মানুষের টিকে থাকাও কঠিন হয়ে পড়বে। এজন্য সমুদ্রের গুরুত্ব তুলে ধরতে আজ ৮ জুন বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও উদযাপিত হচ্ছে বিশ্ব সমুদ্র দিবস।
এবারের বিশ্ব মহাসাগর দিবসের প্রতিপাদ্য হলো Awaken New Depths বা সমুদ্রের প্রতি নতুন গভীরতা জাগ্রত করুন। আর এই বছরের অ্যাকশন থিম বা কর্মপ্রতিপাদ্য হলো Catalysing action for our ocean and climate’ বা ‘আমাদের মহাসাগর এবং জলবায়ুৃর জন্য যুগান্তরী পদক্ষেপ’।
১৯৯২ সালে রিও ডি জেনেরিওতে অনুষ্ঠিত আর্থ সামিটে বিশ্ব মহাসাগর দিবসের প্রস্তাব করা হয়। এরপর ৫ ডিসেম্বর, ২০০৮ তারিখে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ প্রতি বছর ৮ জুনকে বিশ্ব মহাসাগর দিবস হিসাবে পালন করার জন্য সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সমুদ্রের সাথে মানুষের সম্পর্ক সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য দিবসটি পালন করা হয়। প্রতি বছর দিবসটি স্মরণে জাতিসংঘের ইউএন ডিভিশন ফর ওশান অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড দ্য ল অফ দ্য সি জনসচেতনতামূলক নানা কর্মকাণ্ডের আয়োজন করে।
বাংলাদেশ ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক প্রফেসর ড. তৌহিদা রশীদ জানান, দিবসটি স্মরণে কক্সবাজারেও বাংলাদেশ ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে আয়োজন করা হয়েছে দিনব্যাপী নানা অনুষ্ঠানমালার। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে সকাল ৯টায় বোরি মিলনায়তনে ‘Awaken New Depths’ বা সমুদ্রের প্রতি নতুন গভীরতা জাগ্রত করুন প্রতিপাদ্য নিয়ে সেমিনার ও বিকালে সমুদ্র সৈকতে পরিষ্কার–পরিচ্ছন্নতা অভিযান। আর এসব অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব আলী হোসেন।