শনিবার, জানুয়ারি ১৮, ২০২৫

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে কক্সবাজার

সিসিএন প্রতিবেদক:

অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরসহ সংলগ্ন উপকূলীয় এলাকায় বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করছে। কক্সবাজারে আবহাওয়ার পরিবর্তন শুরু হয়েছে। আকাশে মেঘ জমছে, বাতাস বাড়ছে একটু একটু করে। সেন্টমার্টিন থেকে নিরাপদে সরে যাচ্ছে লোকজন। কক্সবাজারের আবহাওয়াবীদের দুশ্চিন্তা পাহাড় ও রোহিঙ্গা ক্যাম্প নিয়ে, এসব জায়গায় মোখার প্রভাবটি সবচেয় বেশি পড়বে তার ধারণা।কক্সবাজারে আবহাওয়ার পরিবর্তন শুরু হয়েছে।কোথাও কোথাও বৃষ্টির পাশাপাশি বইতে শুরু করেছে ঝড়ো হাওয়া, যার প্রভাব পড়েছে পুরো কক্সবাজারে।

শুক্রবার (১২মে ) সকাল থেকেই কক্সবাজার আকাশ মেঘাচ্ছন্ন। বেলা গড়িয়ে দুপুর হলেও সূর্যের দেখা পাওয়া যায়নি। সকাল ১১টার পর কক্সবাজারের আকাশ থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি ঝরতে থাকে। যদিও জনজীবনে তা খুব একটা প্রভাব ফেলেনি। বর্তমানে কক্সবাজারের আশপাশের এলাকায় হালকা বৃষ্টি হচ্ছে।

কক্সবাজার পাশাপাশ এলাকায় খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, সকাল থেকে কোথাও গুঁড়ি গুঁড়ি, আবারও কোথাও ছিটেফোঁটা বৃষ্টি হচ্ছিল।

রামুর বাসিন্দা কফিল উদ্দিন জানান,সকাল থেকে আকাশ মেঘলা। সেই সঙ্গে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিও হচ্ছে।

আবহাওয়া অফিসের আব্দুর রহমান, সহকারী আবহাওয়াবীদ বলেন, মোখা কক্সবাজার উপকূলের কাছাকাছি। কিন্তু সাগর কিছুটা উত্তাল হয়েছে ।সার্ফার সার্ফিংয়ে নেমে খোঁজে পান না বড় কোন ঢেউ।

তিনি আরো বলেন, কক্সবাজারের মোখার প্রভাবে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। বাতাসের তীব্রতা বাড়বে। ফলে কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প এবং পাহাড়ে বসতিগুলো ঝূঁকিতে পড়বে। সিডর ছাড়া গেল ১৫ বছরের বড় কোন প্রাকৃতিক দূর্যোগ হয়নি কক্সবাজারে। এবার মোখা কক্সবাজার অভিমুখী হওয়ায় ক্ষয় ক্ষতি বাড়ার শঙ্কা এই আবহাওয়াবীদের। বললেন, মোখার প্রভাবের আগেই পাহাড় ও রোহিঙ্গা ক্যাম্পের প্রতি সতর্ক দৃষ্টি রাখা জরুরী।

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ান বললেন, মোখা মোকাবেলায় সব প্রস্তুতি নেয়া আছে তাদের।দিকে দুপুর ১২টা থেকে সেন্টমার্টিনের অবস্থার পরিবর্তন হতে শুরু করে। স্থানীয়দের অনেকেই ট্রলার করে নিরাপদ স্থান টেকনাফের দিকে আশ্রয়ে যেতে শুরু করেছে।

#

আরও

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সর্বশেষ খবর

error: Content is protected !!