রবিবার, ডিসেম্বর ১০, ২০২৩

ঘূর্ণিঝড় মিধিলি: সৈকতে ঢেউ দেখতে মানুষের ঢল

সাইদুল ফরহাদ:

কক্সবাজার উপকূলে চলছে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত।এজন্য সমুদ্র উপকূলে স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বেশি উচ্চতায় ঢেউ আছড়ে পড়ছে।এর মধ্যেই ঘূর্ণিঝড় মিধিলি প্রভাব দেখতে সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে ঘোরাঘুরি করছেন পর্যটকরা। তবে, তাদের সৈকতে নামতে দিচ্ছে না টুরিস্ট পুলিশ ও জেলা প্রশাসকের বিচ কর্মীরা।

এদিকে, উপকূলের মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে নেওয়ার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে সতর্কবার্তা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। বিএনপি জামাতের ডাকা হরতাল ও ৬ নম্বর বিপদ সংকেতের মধ্যে কিছু সংখ্যক পর্যটক পরিবার পরিজন নিয়ে মিধিলি’র প্রভাব উপভোগ করার জন্য এসেছেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, প্রশাসনের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও কোন নির্দেশনাই মানছেন না উৎসুক জনতা। পাত্তা দিচ্ছে না বিচকর্মী, লাইফগার্ড কর্মী ও ট্যুরিস্ট পুলিশকে। উলটো তর্কে জড়িয়ে পড়ছেন উৎসুক জনতার অনেকেই।

চাঁদপুর থেকে এসেছেন শফিকুল ইসলাম । শুক্রবার (১৭নভেম্বর) সকালে সৈকতের লাবনী পয়েন্টে সমুদ্রস্নানে নামেন তিনি।

ঘূর্ণিঝড়ের এই অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে কেনই-বা সমুদ্রস্নান? এমন প্রশ্নের জবাবে শফিকুল ইসলাম বলেন, মূলত ঘূর্ণিঝড় দেখতে রুম থেকে সমুদ্রে এসেছি। এটি কখন আসবে সেই অপেক্ষায় আছি। তবে অনেক ভাল লাগছে।

ঢাকা থেকে অফিস সহকর্মীদের সঙ্গে আসা ফয়সাল আহমেদ বলেন, আসছিলাম ঘুরতে।তার মধ্যে ঘূর্ণিঝড়।সত্যি রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা। বড় বড় ঢেউ গুলো ছবি তুলে রাখছি।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ইয়ামিন বলেন,ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সাগর উত্তাল রয়েছে। তাই পর্যটকদের সমুদ্রে সমুদ্রে নামতে দেয়া হচ্ছে না। আমাদের বিচ কর্মী ও টুরিস্ট পুলিশ মাঠে আছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের সকালে সাড়ে ৯টার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত ৬ দেখাতে বলা হয়েছে।

৯ নম্বর বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা লক্ষ্মীপুর, ফেনী, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩-৫ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ু তাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হলো।

আরও

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সর্বশেষ খবর