ইউসুফ বিন হোছাইন, চকরিয়া প্রতিনিধি :
কক্সবাজারের চকরিয়া থানা সেন্টারে গভীর রাতে যুবলীগ নেতা জমির উদ্দিনের নেতৃত্বে দুইটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে রাতের আধারে তালা কেটে সিন্ধুকে রক্ষিত নগদ টাকাসহ মালামাল লুট, ভাঙচুর ও জবর দখলের অভিযোগ উঠেছে।অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা জমির উদ্দিন চকরিয়া পৌরসভা ৪ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি।
শুক্রবার ১৭ নভেম্বর ভোর রাতে এ ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় দোকান মালিক আব্দুল হাকিম বাদী হয়ে চকরিয়া থানায় এজাহার দায়ের করেন। এতে অভিযুক্ত করা হয়েছে যুবলীগ নেতা জমির উদ্দিনসহ ১১জনকে।
অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা জমির উদ্দিন চকরিয়া পৌর এলাকার ৪ নং ওয়ার্ডের ভরামুহুরী হাজী পাড়ার মৃত আবুল কাশেমের ছেলে।
বাদী আবদুল হাকিম অভিযোগে জানান, চকরিয়া থানার পূর্বপাশ্বে পৌর ৪নং ওয়ার্ড ভরামুহুরী হিন্দুপাড়া রোড সংলগ্ন বাদীর মালিকানাধীন হাকিম এন্ড সন্স মুদির দোকানের গোডাউন ও ভাড়াটিয়া আব্দুল আজিজের ফার্নিচারের দোকানঘরে ১৭নভেম্বর শুক্রবার রাত আনুমানিক ২ টার দিকে অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা জমির উদ্দিনের নেতৃত্বে দেশীয় অবৈধ অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে একটি অজ্ঞাতনামা পিকআপ গাড়ি নিয়ে দুইটি দোকান ও গোডাউনের তালা ভেঙ্গে ভেতরে ঢুকে ব্যাপক লুটপাট চালায়। এক পর্যায়ে সিন্দুকের তালা ভেঙ্গে ব্যবসায়িক রক্ষিত নগদ সাড়ে ১৫ লাখ টাকা, বিভিন্ন পাইকারি ব্যবসায়ীদের দেয়া ৮/১০টি চেক ও দলিলপত্র এবং গোডাউনে রক্ষিত ১০০ বস্তা চিনি যার মূল্য ৬লাখ ২০ হাজার টাকা এবং ১৫০ বস্তা চাউল মূল্য সাড়ে ৫ লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। একইভাবে ভাড়াটিয়া দোকানের মালিক আব্দুল আজিজ গ্রিলের ফার্নিচারের দোকানে রক্ষিত প্রায় ৬ লক্ষ টাকার ফার্নিচার সামগ্রীসহ সর্বমোট ৩৩,২০,০০০/- টাকার মালামাল লুণ্ঠন করে নিয়ে যায় বলে এজাহারে উল্লেখ করেন।
অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা জমির উদ্দিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন; “আমাদের বিষয় আমরা সমাধান করবো এখানে সাংবাদিকের কাজ কি? “
সাংবাদিকদের নিয়ে এমন অবান্তর মন্তব্য করায় চকরিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকদের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
এবিষয়ে চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী জানান, ঘটনার বিষয়ে প্রথমে মৌখিক ও পরে লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর ইন্সপেক্টর (তদন্ত) অরূপ কুমার চৌধুরীর নেতৃত্বে নেতৃত্বে পুলিশ টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধারসহ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।