সিসিএন অনলাইন ডেস্কঃ
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) কোটাবিরোধী শিক্ষার্থীদের উপর ফের কয়েক দফায় হামলার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় দুই শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়েছেন। সোমবার (১৫ই জুলাই) দুপুর আড়াইটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, দুপুরে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টেশনে জড়ো হই ষোলশহরে গিয়ে আন্দোলনে যোগ দেয়ার জন্য। তখন ছাত্রলীগ কর্মীরা এসে শাটলের চাবি নিয়ে নেয় ও আমাদের উপর হামলা করে। এ সময় তারা তালাত মাহমুদ রাফিসহ কয়েকজন শিক্ষার্থী জিম্মি করে প্রক্টর অফিসে নিয়ে যায়। তখন আন্দোলনকারী জিম্মি হওয়া শিক্ষার্থীদের উদ্ধার করতে যাওয়ার পথে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে তাদেরকে আটকে বেধড়ক মারধর করে ছাত্রলীগের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের ২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী নাইম আরাফাত, আইন বিভাগের ১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের খালেদ মাসুদ, সমাজতত্ত্ব বিভাগের ১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের আরাফাত রায়হানসহ কয়েকজন তারা এসময় রাস্তায় ফেলে বাঁশ-তক্তা দিয়ে এক শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে মারাত্মক জখম করে ও ছাত্রীদের হেনস্তা করে। এ সময় গুরুতর আহত হন বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের ২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মো. মাহবুবুর রহমান।
শিক্ষার্থীরা বলেন, শহীদ মিনারে আমাদেরকে হেনস্তার প্রতিবাদে প্রক্টর কার্যালয়ে অভিযোগ দিতে যাই। এ সময় ছাত্রলীগ আমাদের পথরোধ করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। আমরা প্রক্টর অফিসের ভেতরে ঢুকতে গেলে তারা দরজা আটকে দেয় ও আমাদের শারীরিকভাবে হেনস্তা করে। প্রক্টর ও সহকারী প্রক্টরদের উপস্থিতিতে ছাত্রলীগ আমাদের সঙ্গে খুব খারাপ আচরণ করেছে। আমাদের দেখে নেয়ার কথা বলেছে। আমরা নিরাপত্তা জনিত শঙ্কায় ভুগছি।
প্রক্টর অফিসের সামনে মারধরের শিকার বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রী নাম প্রকাশ না করে বলেন, আমরা প্রক্টরের অফিসে ঢুকতে চাইলে ছাত্রলীগ বাধা দেয়, দরজা লাগিয়ে দিতে চায়। তখন আমি দরজা আটকালে তারা আমার পায়ে একাধিক লাথি মারেও হাতে আঘাত করে। আমাদের সব ছাত্রীর সঙ্গেই তারা খারাপ আচরণ করেছে। তারা প্রক্টর অফিসের সামনেই আমাদের উপর হাত তুলেছে, বিশ্রী ভাষা ব্যবহার করেছে। প্রক্টররা সব কিছু দেখেও কোনো পদক্ষেপ নেয়নি, উল্টো তাদের সঙ্গে কথা বলার সময় আমাদের ধমক দেন।
ছাত্রলীগের একাংশের নেতা ইলিয়াস বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজাকারদের কোনো ঠাঁই নেই। রাজাকার-রাজাকার স্লোগান দিয়ে কেউ এদেশে থাকতে পারে না।