শুক্রবার, জানুয়ারি ২৪, ২০২৫

চাঁদা না পেয়ে ব্যক্তি মালিকানাধীন জমিতে নির্মিত স্থাপনায় ভাংচুর-অগ্নি সংযোগের অভিযোগ

বার্তা পরিবেশক:
রামুর পেঁচারদ্বীপ এলাকায় চাঁদা না পেয়ে ব্যক্তি মালিকানাধীন জমিতে নির্মিত স্থাপনায় ভাংচুর-অগ্নিসংযোগের অভিযোগ উঠেছে ধেছুয়াপালং ইউনিয়ন ভূমি অফিসের ভূমি সহকারী কর্মকর্তা সেলিম উল্লাহ ও রামু উপজেলা ভূমি অফিসের ভারপ্রাপ্ত (কানুনগো) মাহবুবুর রহমান সার্ভেয়ারের বিরুদ্ধে।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মো. সালাউদ্দিনের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে ভুক্তভোগী ‘মারমেইড ইকো ট্যুরিজম লিমিটেড’ কর্তৃপক্ষ।

অভিযোগে বলা হয়, ‘মারমেইড ইকো ট্যুরিজম লিমিটেড’ ব্যবসায়িক সাফল্যে কিছু ব্যক্তি ঈর্ষান্বিত হয়ে ব্যক্তি শক্রতামূলক আচরণ শুরু করে। সম্প্রতি চক্রটি প্রত্যক্ষভাবে ধেছুয়াপালং ইউনিয়ন ভূমি অফিসের ভূমি সহকারী কর্মকর্তা সেলিম উল্লাহ ও রামু উপজেলা ভূমি অফিসের ভারপ্রাপ্ত (কানুনগো) মাহবুবুর রহমান সার্ভেয়ার সুকৌশলে চাঁদা দাবি করে আসছিল।

দুর্নীতি ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য সেলিম উল্লাহকে ইতিপূর্বে চাকরিচ্যুত করা হয়। সম্প্রতি নানা কৌশলে চাকরিতে পুনর্বাসিত হয়ে আরো বেপরোয়া হয়ে পড়ে। দাবিকৃত অর্থ না দিলে এলাকায় ব্যবসা করতে দেওয়া হবে না সম্প্রতিএমন হুমকি-ধমকি দেয় ‘মারমেইড ইকো ট্যুরিজম লিমিটেড’ কর্তৃপক্ষকে।

অভিযুক্ত সেলিম উল্লাহ ও মাহবুব আলম অবৈধ আর্থিক সুবিধা (ঘুষ) ও চাঁদা আদায়ে ব্যর্থ হয়ে নানা মিথ্যা কল্পকাহিনী রচনা করে। খরিদকৃত জোত জমিকে খাস জমি নামে মিথ্যা অভিযোগ করে। এমনকি কোন নোটিশ ও আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে সম্প্রতি এই কাঠের সেতুটি ভাংচুর করে। শুধু তাই নয়, প্রবল আক্রোশে ভাংচুরকৃত স্থাপনায় অগ্নিসংযোগ করে।

অভিযোগে আরও বলা হয়, দুর্নীতিবাজ সেলিম উল্লাহ ইতিপূর্বে জালিয়াতির মাধ্য ১৪/০৬/১৯৬২ তারিখের ৪৮৫৩ দলিলকে পরিবর্তন করে ১৯৮২ সালের দলিল বানিয়ে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে নামজারী ও জমাভাগ করে ৪৬৯ নং খতিয়ান তৈরি করেছে। প্রতারণার মাধ্যমে তৈরিকৃত নামজারী মামলার প্রস্তাবনা, প্রতিবেদন ও তৈরিকৃত ৪৬৯ নং খতিয়ানে তার স্বাক্ষর রয়েছে। শুধু তাই নয় ৪৬৯ নং খতিয়ান থেকে সেলিম উল্লাহ পরবর্তীতে নামজারী ৫৪০, ৫২৮ ও ৯৭৬ খতিয়ান তৈরি করে। এই জঘন্য জালিয়াতির কারণে জেলা প্রশাসকের রাজস্ব আদালতে মামলাও করা হয়।

সেই মামলা এখনও বিচারাধীন রয়েছে। আদালতে বিচারাধীন মামলার বিষয় গোপন করে বেআইনীভাবে তিনি মারমেইডের স্থাপনায় ধ্বংসযজ্ঞ চালায়।

এই ধ্বংসযজ্ঞের কারণে কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি হয় মারমেইড কর্তৃপক্ষের। এছাড়া তিন কোটি টাকার ব্যবসায়িক ক্ষতি হয়েছে। ভাঙা সেতুটির কারণে বিদেশি পর্যটকদের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। এ কারণে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দাবি করেছে মারমেইড কর্তৃপক্ষ। সেই সঙ্গে সেলিম উল্লাহ ও মাহবুব আলমের অপসারণসহ তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

এদিকে, অভিযোগের বিষয়ে জানতে ভূমি সহকারী সেলিম উল্লাহকে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। তার মোবাইলে ফোনে বার্তা পাঠানো হলেও তার উত্তরে তিনি বলেন, আমি অসুস্থ। আর এসব অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।

আরও

1 COMMENT

  1. কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি,
    এবং এ ধরনের চাঁদাবাজদের দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি,নয়তো এই ধরনের কর্মকান্ড আরো বাড়তে থাকবে,
    চাঁদা না দেওয়ার কারণে জের ধরে মারমেইড এর নিজস্ব জমির স্থাপনা ভাঙচুর করেন,
    এটা খুবই দুঃখের, ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সর্বশেষ খবর

error: Content is protected !!