সিজান কান্তি দে:
যানজট নিরসন এবং দুর্ঘটনা এড়াতে চট্টগ্রামে চালু হচ্ছে ১০ টি স্মার্ট স্কুল বাস চালুর উদ্যোগ নিয়েছে জেলা প্রশাসন।
অত্যাধুনিক ‘স্মার্ট ডিজিটাল ডিভাইস’ সংযোজন করে নগরীর বিভিন্ন রুটে চলাচল করা ১০টি স্কুল বাসকে ‘স্মার্ট’ করা হবে।
আগামী দেড় থেকে দুই মাসের মধ্যে স্কুল বাস ‘স্মার্ট’ করার কাজ শেষ হবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে,স্মার্ট বাসগুলোতে শিক্ষার্থীদের একটি করে স্মার্টকার্ড দেওয়া হবে।বাসে ওঠা এবং নামার সময় তারা বাসে থাকা ডিজিটাল হাজিরা ডিভাইসে দেখাবে।এতে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই তাদের অভিভাবকের কাছে খুদে বার্তা চলে যাবে,যে আপনার সন্তান বাসে উঠেছে/নেমেছে’।
শিক্ষার্থীদের যে কার্ড দেওয়া হবে, সেটিতে টাকা রিচার্জ করা যাবে। সেখান থেকেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভাড়া কেটে নেওয়া হবে। তবে ভাড়া এখনো নির্ধারণ করা হয় নি।তবে ভাড়া ১০ টাকার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে বলে তারা জানিয়েছে।পাশাপাশি বাসের আইপি ক্যামেরার অ্যাড্রেস অভিভাবকদের দেওয়া হবে।এতে অভিভাবকেরা নিজেরাই তাদের সন্তানদের বাসা বা কর্মস্থল থেকে সন্তানদের দেখতে পারবেন।
বিদ্যালয় ও সড়ক বিবেচনায় নগরের বহদ্দারহাট-মুরাদপুর থেকে চকবাজার-গনি বেকারি-জামালখান-চেরাগী পাহাড়-আন্দরকিল্লা-লালদীঘি কোতোয়ালি হয়ে নিউমার্কেট পর্যন্ত এবং অক্সিজেন থেকে মুরাদপুর-২ নম্বর গেট-জিইসি-টাইগারপাস হয়ে আগ্রাবাদ পর্যন্ত রুটে চলাচল করছে এই ১০টি বাস। তবে নগরের হালিশহর,বড়পোল, ইপিজেড ও মোহরা এলাকায় বেশ কয়েকটি বিদ্যালয় থাকলেও সেখানে কোনো স্কুলবাস চলাচল করে না।স্মার্ট বাসগুলোও শুরুতে আগের রুটেই চলাচল করবে।
জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন,মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভিশন ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়তে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন নিরলসভাবে কাজ করছে।স্কুল বাস ‘স্মার্ট’ করার উদ্যোগ সেই কাজের অন্যতম।ইতোমধ্যে আমরা অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট’র কাজ শুরু করেছি। সংশ্লিষ্টদের নিয়ে সভা করেছি।সব যন্ত্রপাতি স্থাপন করে আশা করছি আগামী দেড় থেকে দুই মাসের মধ্যে চট্টগ্রামে ‘স্মার্ট’ স্কুল বাস চালু হবে।
তিনি আরো বলেন,গণপরিবহন ব্যবস্থা নিরাপদ না হওয়ায় অভিভাবকরা সন্তানকে একা স্কুলে ছাড়তে চান না।সঙ্গে স্কুলে চলে আসেন।তাদের সময় অপচয় হয়। কাজে ব্যাঘাত ঘটে।‘স্মার্ট’ স্কুল বাস চালু হলে অভিভাবকদের দুশ্চিন্তা দূর হবে।
তবেএই স্মার্ট বাসগুলোর উদ্দেশ্য হলো শিক্ষার্থীদের যাত্রা নিরাপদ করে অভিভাবকদের ভোগান্তি, যানজট নিরসন এবং দুর্ঘটনা রোধেও ভূমিকা রাখবে।