নিজস্ব প্রতিবেদক:
অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে খালি স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে জমি দখল ও লুটপাটের ঘটনায় জেলা আওয়ামী নেতা বদরুল হাসান মিল্কির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে।
১৬ অক্টোবর টেকনাফ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দখলকৃত জমির ওয়ারিশদের পক্ষে কক্সবাজার পৌরসভার বাসিন্দা রেজাউল ইসলাম মামলাটি দায়ের করেন।
টেকনাফের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আখতার জাবেদের আদালতে দায়ের হওয়া মামলাটি সি. তার মামলা নং ৪৭৯/২৪ইং।
মামলা অভিযোগ পত্র থেকে জানা যায়,১৫ বছর আগে টেকনাফ সদর মৌজার আর.এস খতিয়ান নম্বর- ৫১০, ১৪৬, এম.আর.আর ৮৩ নম্বর খতিয়ানের আর.এস. ৯১৯১/৫৬৬৭ দাগের অন্ধর ০.১৬৬ একর জমি বাদী ও অপরাপর ওয়ারিশদের কাছ থেকে ক্রয় করতে চাই মিল্কি কিন্তু জমির মালিকের জমিটি বিক্রি করতে না চাইলে ক্ষিপ্ত হয়ে মিল্কি ও তার লোকজন ২০০৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি রাত আনুমানিক ৩ টার সময় বাদি ও তার ওয়ারিশদের অস্ত্রের মুখে জিম্মিকে টেকনাফ বাস স্টেশনের দক্ষিণে মিল্কির অফিসে নিয়ে যায়,এসময় তার অস্ত্রতাক করে হুমকি দিয়ে একশত টাকার (যাহার নম্বর প ৯১৯৬০৭) ও একটি পঞ্চাশ টাকার (যাহার নম্বর ম- ২৯০৮২৯৪) স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয়,পরে সেই খালি স্ট্যাম্পে নিজের মত করে লিখে একটি নাদাবী- নামা দলিলে রূপান্তরিত করা হয়।যেটি ব্যবহার করে সেই জমিটিতে হামলা চালিয়ে জমিতে থাকা স্থাপনা ও দোকান ভাঙচুর করে প্রায় ২ লক্ষ টাকার মালামাল লুট করা হয়।
ঘটনার পর থানায় মামলা করতে গেলে সেসময় আওয়ামী লীগ সরকারের প্রভাব খাটিয়ে মামলা রুজু করতে দেয়নি মিল্কি,পরে আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়।
উপরোক্ত ঘটনায় জেলা আওয়ামী লীগ নেতা বদরুল হাসান মিল্কির বিরুদ্ধ ৩৮৫/৩৮৯/৪২৭/৪৪৭/৩৮০/ ৫০৬ (২) ধারায় মামলাটি করা হয়েছে।
দীর্ঘদিন পর হলেও নিজেদের সাথে হওয়া অন্যায়ের জন্য বদরুল হাসান মিল্কির শাস্তি দাবি করেন ভুক্তভোগীরা।