সিসিএন প্রতিবেদক :
জ্বালানি তেলসহ অন্যান্য দ্রব্যের পাচার রোধকল্পে কক্সবাজার সদরসহ বিভিন্ন উপজেলায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। এ সময় লাইসেন্স ছাড়া পেট্রোলিয়াম ব্যবসা পরিচালনার দায়ে ৬ টি প্রতিষ্ঠানকে মোট ২,১৮,০০০ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়। এর মধ্যে শহরের নুনিয়ারছড়া এলাকায় লাইসেন্স ছাড়া বার্জ পরিচালনার দায়ে ২ টি প্রতিষ্ঠানকে ১,০০,০০০ করে ২,০০,০০০ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়।
সাগরপথে অবৈধভাবে জ্বালানি তেল পাচারের বিরুদ্ধে অভিযানে নেমেছে প্রশাসন। একযোগে সকল পেট্রোল পাম্প ও ট্রলারে তেল বিক্রি করা নদীর মোহনায় ভাসমান তেলের পাম্পগুলোতে অভিযান চালানো হচ্ছে। অবৈধ পন্থায় কোনো পাম্প তেল বিক্রি করছে কিনা সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে অভিযানে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের পাশে বাকখালী নদীর মোহনায় অভিযানে নেতৃত্ব দেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ইয়ামিন হোসেন। তিনি জানান, তেল পাচাররোধে পুরো জেলায় একযোগে অভিযান শুরু করেছে তারা। অভিযানে সবকিছু খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
কক্সবাজারে প্রতিমাসে পেট্রোল পাম্পগুলোতে কি পরিমাণ জ্বালানি তেল মজুদ করা হয় তার কোন তথ্য নেই জেলা প্রশাসনের কাছে। যার কারণে কোন কোন পেট্রোল পাম্প গত দুই মাসে সবচেয়ে বেশি জ্বালানি তেল মজুদ এবং বিক্রি করেছে সেটার কোন হিসাব নেই কোথাও।
ইয়ামিন হোসেন জানান, পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের সাথে তারা যোগাযোগ করেছে, শীঘ্রই তারা তালিকাটি হাতে পাবেন, তালিকাটি পেলে তেল পাচারের সাথে জড়িত পাম্পগুলোকে শনাক্ত করতে সহজ হবে তাদের।
ফিশিং ট্রলারে তেল বিক্রি করা পাম্পগুলোর মালিক ও জেলেরা বলছেন, মূলত পাচারকারীরা বিভিন্ন পেট্রোল পাম্পের সাথে চুক্তি করে তেলগুলো পাচার করে। এর সাথে জেলে বা নদীর মোহনার ভাসমান পাম্পগুলো জড়িত নয়।
কক্সবাজারে হঠাৎ মিয়ানমারে জ্বালানি তেল পাচার বেড়ে গেছে। গত কয়েকদিনের ব্যবধানে কক্সবাজারের বিভিন্ন জায়গা থেকে ১০ হাজার লিটারেরও বেশি তেল জব্দ করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।