রনি পারভেজ (চট্টগ্রাম) :
সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় টানা তৃতীয় দিনের মতো চট্টগ্রামের নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।
চসিক ৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এসরারুল হক এসরাল বলেন, ‘স্থানীয় স্কুলে সবাই কে থাকতে বলেছি কিন্তু তারা তাদের আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে চলে যাচ্ছেন। আর যারা স্কুলে গেছেন তাদের খাবার আমার দিচ্ছি।
সরেজমিনে দেখা গেছে, নগরীর চান্দগাঁও থানাধীন বেপারিপাড়া,বোর্ডস্কুল, টেগবাজার,সিএনবি,বাহির সিগন্যাল সহ আশে পাশের অধিকাংশ নিচু এলাকা হাঁটু থেকে কোমর পানিতে তলিয়ে গেছে।
৬ আগস্ট সকাল ১১টায় বেপারিপাড়া এলাকার রাস্তার পাশের অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ দেখা যায়। দোকানিরা জানান, বৃষ্টির পানি দোকানে ঢুকে যাওয়ায় জিনিষপত্র নষ্ট হচ্ছে।
বেপারিপাড়ার এলাকার দোকানি জনি আহমেদ জানান,শুক্রবার রাতে প্রবল বৃষ্টির পর তার দোকানে পানি ঢুকে যায়।শনিবার বিকেলে সেই পানি অপসারণ করেন তিনি। এর পর সেদিন রাতে আবার বৃষ্টিতে তার দোকানে পানি ঢোকে।
তিনি বলেন, ‘আরও বৃষ্টি হলে আবার দোকানে পানি ঢুকবে, তাই এখন আর পানি অপসারণ করছি না। এই কারণে আজ অধিকাংশ দোকান বন্ধ আছে।’
গত তিন দিনে প্রবল বৃষ্টিতে চান্দগাঁও থানা বহদ্দারহাট এলাকার বিভিন্ন মার্কেটের নিচতলায় পানি ঢুকে পড়ে। দোকানিরা জানান নিচতলায় নোংরা পানি ঢুকে দোকানের মূল্যবান জিনিসপত্র নষ্ট হয়ে গেছে। বহদ্দারহাট থেকে কালুরঘাট কাঁচাবাজার পর্যন্ত রাস্তা হাঁটু পানিতে তলিয়ে গেছে। রাস্তার পাশের নর্দমা থেকে উপচে পড়া নোংরা পানি মাড়িয়ে চলাচল করছেন পথচারীরা।
চান্দগাঁও থানা এলাকার বাসিন্দা মামুন আহমেদ এবং খাঁন আনিছ জানান আমরা এই বন্যার কারনে সবাই শুকনো খাবারের সংকটে আছে,আমরা যতটুকু পারতেছি মানুষ কে দিতেছি আশা করি আমাদের এই সেবা অব্যাহত থাকবে।