ওবাইদুর রহমান নয়ন,টেকনাফ প্রতিনিধি :
কক্সবাজারের টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের নয়াপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১ লক্ষ পিস ইয়াবাসহ তিনজন মাদক কারবারীকে আটক করেছে র্যাব-১৫ । এসময় মাদক পাচারে ব্যবহৃত প্রাইভেটকারটিও জব্দ করা হয়েছে।
আটককৃতরা হলেন,উখিয়া বালুখালী ৯ নম্বর ক্যাম্পের ব্লক-জি/৩১, এর বাসিন্দা মৃত অলি আহাম্মদের ছেলে মোহাম্মদ নূর (২৮),টেকনাফ উপজেলার ২৬ নম্বর ক্যাম্পের মুছনী বক্কর মেম্বারের রাস্তার মাথা, ব্লক-এইচ/৮ এর বাসিন্দা নাজির আহম্মেদের ছেলে মোহাম্মদ ইছহাক (২০) ও টেকনাফ সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ ডেইল পাড়ার মোঃ ইসলামের ছেলে মোঃ জাহেদ উল্লাহ (৩৮)।
কক্সবাজার র্যাব-১৫ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও সিনিয়র সহকারী পরিচালক (ল’ এন্ড মিডিয়া) মোঃ আবু সালাম চৌধুরী গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান,বুধবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে এই তিন মাদক ব্যবসায়ী বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে প্রাইভেটকারযোগে জাদিমুড়া এলাকা থেকে হ্নীলা বাজারের দিকে আসছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১৫, সিপিসি-১ টেকনাফ ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল জাদিমুড়া এলাকার কক্সবাজার-টেকনাফ মহাসড়কের পশ্চিম পার্শ্বে নয়াপাড়া শালবাগান রাস্তার মাথায় অস্থায়ী চেকপোস্ট স্থাপন করে গাড়ী তল্লাশী শুরু করে। তল্লাশীর এক পর্যায়ে জাদিমুড়ার দিক থেকে ছেড়ে আসা একটি সাদা প্রাইভেটকার তল্লাশীর জন্য থামানোর সংকেত দেয়। প্রাইভেটকারে থাকা ব্যক্তিরা র্যাবের উপস্থিতি বুঝতে পেরে দ্রুত গাড়ী থামিয়ে দৌড়ে কৌশলে পালানোর সময় র্যাব তাদের তিনজনকে’ই আটক করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামীদের দেখানোমতে তাদের সাথে থাকা সাদা বর্ণের প্রাইভেটকারের পিছনের সিটের পিছনের অংশে বিশেষভাবে লুকায়িত অবস্থায় সাদা রংয়ের প্লাষ্টিকের বস্তার ভিতর থেকে ১ লক্ষ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার এবং ১টি প্রাইভেটকার (যার রেজিঃ নং-চট্ট মেট্রো গ-১২-৩৬২৭ ও চেচিস নং- NZE 121-3284483),১টি চাবি,৩টি এন্ড্রয়েড মোবাইল,৬টি সীম কার্ড ও নগদ ৪ হাজার ৫শত টাকা জব্দ করা হয়।
আটককৃতরা জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে যে, তারা দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত। পরস্পর পরস্পরের যোগসাজসে অবৈধভাবে টেকনাফ সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে এবং বিভিন্ন পন্থায় স্থানীয় এলাকাসহ কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন স্থানে ইয়াবা বিক্রয় করে থাকে ।
তিনি আরো জানান,উদ্ধারকৃত আলামতসহ আটককৃত মাদক কারবারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।