ওবাইদুর রহমান নয়ন, টেকনাফ প্রতিনিধি:
টেকনাফে ৫দিন পর অপহৃত মাদরাসার শিক্ষার্থীকে পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করেছে পুলিশ । এঘটনায় ৪ জন অপহরনকারীকে আটক করা হয়।
উদ্ধারকৃত শিক্ষার্থী হ্নীলা মৌলভী বাজার নাইক্ষ্যংখালী এলাকার খায়রুল আমিন(১২)। সে ওই এলাকার মালয়েশিয়া প্রবাসী মোঃ ইউনুছ এর ছেলে এবং মৌলভী বাজার ইসলামিক আজিয়া ফয়জুল উলুম হিফজ খানার ছাত্র।
বুধবার (২১ জুন) সকাল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের রঙ্গিখালী গহীন পাহাড় থেকে উদ্ধার করা হয়। এর আগে গত ১৬ জুন তাকে অপহরণ করে পাহাড়ে নিয়ে যায় অপহরণকারীরা।
এ ঘটনায় জড়িত মরিচ্যাঘোনা বড়বিল এলাকার নুর মোহাম্মদের ছেলে মোঃ আলম(২৭), মৃত ইজ্জত আলীর ছেলে আহম্মদ হোসেন(৫২), আহম্মদ হোসেন এর ছেলে মোঃ পারভেজ(২০), সাইফুল ইসলাম এর স্ত্রী আজিজা খাতুন(২১) কে আটক করে পুলিশ। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পুলিশ জানায়, শুক্রবার (১৬জুন) সকাল ১০ টার দিকে হ্নীলা বাজার থেকে তার বন্ধু ফরহাদের বাসা রঙ্গিখালীতে যাওয়ার জন্য হ্নীলা বাজার থেকে আলমের টমটমে উঠে। টমটমের ড্রাইভার আলম পানখালী যাওয়ার পথে কৌশলে তার অপর সহযোগীকে গাড়িতে তোলে। পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক খায়রুল আমিনকে টমটম গাড়ি নিয়ে রঙ্গিখালী পাহাড়ের ঢালায় নিয়ে যায় হাত পা বেঁধে ভয়ভীতি দেখিয়ে অপহরনকারীরা ভিকটিমের মায়ের মোবাইলে ফোন করে ৬ (ছয় লক্ষ) টাকা মুক্তিপণ দাবী করে।
শিক্ষার্থীর চাচা জাহাঙ্গীর আলম টেকনাফ মডেল থানায় নিখোঁজ ডায়রী করার পর পুলিশ দফায় দফায় পাহাড়ে উদ্ধার অভিযানসহ বিভিন্ন ঘর-বাড়ি তল্লাশী করে।
এ বিষয়ে টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হালিম জানান, ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে টমটম ড্রাইভার আলমকে আটক করে শিক্ষার্থী খায়রুল আমিনকে উদ্ধারের জন্য পাহাড়ের উপর অভিযান চালায় পুলিশ।
বুধবার (২১জুন) ভোর ৫ টার দিকে পাহাড়ে অবস্থানরত অপহরণ চক্রের সদস্যরা পুলিশের আঁচ করতে পেরে অপহৃত শিশু খায়রুল আমিন কে রেখে পালিয়ে যায়। পুলিশ খায়রুল আমিন কে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
ওসি আব্দুল হালিম আরো জানান, ঘটনায় জড়িত অপহরনকারী চক্রের চার সদস্যকে আটক করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। অপরাপর আসামীদের আটক করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।