ওবাইদুর রহমান নয়ন, টেকনাফ প্রতিনিধি :
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসনের বিভিন্ন স্থানে দলের মনোনীত প্রার্থীদের সাঁটানো ব্যানার, পোস্টার নিজ উদ্যোগে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিলেও তা সরাননি প্রার্থীরা। ফলে নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসকের নির্দেশে পোস্টার ও ব্যানার সরানো হয়।
বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে টেকনাফ বাস স্টেশনসহ বিভিন্ন জায়গায় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ এরফানুল হকের নেতৃত্বে র্যাব ও পুলিশের একটি টিম ও পৌরসভার সুপারভাইজার ও কর্মচারীদের নিয়ে এসব পোষ্টার অপসারণের কার্যক্রম শুরু করেছে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের টেকনাফ উপজেলার সহকারী রিটার্নিং অফিসার আদনান চৌধুরী বলেন, প্রতীক বরাদ্দের আগে কেউ নির্বাচনি প্রচার শুরু করতে পারবেন না। সম্ভাব্য বা দলীয় প্রার্থীদের প্রচারণামূলক বা শুভেচ্ছা জানিয়ে বিভিন্ন ধরনের পোস্টার, ব্যানার, স্টিকার, বিলবোর্ড, লিফলেট বিভিন্ন এলাকায় সাঁটানো হয়েছে। সরানোর নির্দেশের পর অনেকে সরিয়েছেন আবার অনেকেই সরাননি। যারা নির্ধারিত তারিখের মধ্যে পোস্টার ও বিলবোর্ড অপসারণ করেননি তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, বিধিমালা (নির্বাচন আচরণবিধি), ২০১৬ এর ৫ বিধি অনুযায়ী কোনও প্রার্থী বা তার পক্ষে কোনও রাজনৈতিক দল, অন্য কোনও ব্যক্তি, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান প্রতীক বরাদ্দের আগে কোনও প্রচার শুরু করতে পারবেন না। তথাপি অধিকাংশ এলাকায় সম্ভাব্য প্রার্থীদের নির্বাচনি প্রচারণামূলক বা শুভেচ্ছা জানিয়ে বিভিন্ন ধরনের পোস্টার, ব্যানার, স্টিকার, বিলবোর্ড, লিফলেট লাগানো হয়েছে। এ ধরনের কার্যক্রম সংসদ নির্বাচনের বিধিমালার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। যারা নির্ধারিত তারিখের মধ্যে পোস্টার ও বিলবোর্ড অপসারণ করেননি তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনাকারী কর্মকর্তা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এরফানুল হক চৌধুরী বলেন, গত ২৮ নভেম্বর থেকে নির্বাচনী আচরণবিধি শুরু হয়েছে, সেই আচরণবিধির অংশ হিসেবে সকল ধরনের নির্বাচনী পোস্টার, ব্যাপার অপসারণ করা হচ্ছে।