সিসিএন প্রতিবেদক:
কক্সবাজারের টেকনাফের গহিন পাহাড়ে একটি হাতি মারা গেছে। হাতিটির মৃত্যু রহস্যজনক বলছেন এলাকার লোকজন। তবে বন বিভাগ বলেছে প্রায় ৭০ বছর বয়স্ক বন্য হাতিটির মৃত্যু হয়েছে বার্ধক্য জনিত কারণে।
এলাকার লোকজন বলেছেন, হাতিটির দাঁত ছিল। কিন্তু বন সন্ত্রাসীরা হাতির দাঁত তুলে নিয়েছে। এলাকার লোকজনের ধারণা হচ্ছে এটি বার্ধক্যজনিত কারণে নয়, বাস্তবে বন সন্ত্রাসীরা দাঁত পাচারের জন্য হাতিটিকে হত্যা করে থাকতে পারে। তবে বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো সরওয়ার আলম বলেছেন, হাতিটির দাঁত আছে কিন্তু ভাঙ্গা। দাঁত কেউ নিতে পারে নি।
শনিবার সকালে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের পশ্চিম লেদার গহিন পাহাড়ে দেখা মিলে এই মৃত হাতিটির।
কক্সবাজার বন ও পরিবেশ সংরক্ষণ পরিষদের সভাপতি দীপক শর্মা দীপু বলেন, খাদ্যাভাবে হাতিটি মারা যেতে পারে না হয় দাঁত নেয়ার জন্য এই হাতিকে মারা হয়েছে। বিষয়টি গুরুত্বের সাথে তদন্ত করা প্রয়োজন।
রোহিঙ্গারা আশ্রয় নেয়ার পর থেকে অনিরাপদ হয়ে উঠেছে হাতির বসবাস। রোহিঙ্গারা হাতিদের আবাসস্থল যেমন দখল করে বসবাস করছে তেমনি হাতিদের উপর হামলা করে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা। বিশেষ করে দাঁত নেয়ার জন্য মারা হচ্ছে হাতিদের। হাতিদের আবাসস্থল ছোট হয়ে পড়ায় খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। খাদ্যাভাব এবং দাঁত নেয়ার কারণে টেকনাফ- উখিয়া অঞ্চলে গত পাঁচ বছরে ১০ টির বেশি হাতি মারা গেছে।
কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা মো. সরওয়ার আলম বলেন, তিনি জানান, বনবিভাগের কর্মীরা বাগান পরিদর্শনে গিয়ে হাতির মরদেহের দেখা পায়। পরে তারা ( বনবিভাগের কর্মীরা) ঘটনাস্থলে গিয়ে এটি উদ্ধার করেন। যে হাতিটির মরদেহ পাওয়া গেছে তা পুরুষ এবং প্রায় ৭০ বছর বয়স্ক। গত ৫ বছরে কক্সবাজারে কমপক্ষে ৮ টি হাতির মৃত্যু হয়েছে।
বিভাগীয় বন কর্মকর্তা সরওয়ার আলম জানান, ‘যথারীতি ভেটেরিনারি চিকিৎসক এবং টেকনাফ উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা হাতিটির ময়না তদন্ত সম্পন্ন করেছেন। তারা বলেছেন, প্রাথমিক ধারণা মতে বয়স্ক হওয়ায় বার্ধ্যকজনিত কারণে হাতিটির মৃত্যু হয়েছে।’
এ বিষয়ে টেকনাফ উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেছেন -‘ আমার মনে হয়েছে বয়সের কারণে মারা গেছে। দাঁতও ভাঙ্গা রয়েছে। ‘
হাতিটি মাটিতে পুঁতে ফেলা হয়েছে। এ ব্যাপারে টেকনাফ থানায় সাধারণ ডায়েরিও করা হয়েছে।