বৃহস্পতিবার, মার্চ ২৭, ২০২৫

টেকনাফ উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে জেলহত্যা দিবস, দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা সম্পন্ন

ওবাইদুর রহমান নয়ন, টেকনাফ প্রতিনিধি:

কক্সবাজারের সীমান্ত শহর টেকনাফ উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে জেলহত্যা দিবসে জাতীয় চার নেতার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি, দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত। আজ শুক্রবার ৩রা নভেম্বর শোকাবহ জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে জাতীয় চার নেতার স্মরণে গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করে টেকনাফ উপজেলা আওয়ামীলীগ।

জেল হত্যা দিবস দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা শুক্রবার (৩নভেম্বর)বিকাল ৫টায় টেকনাফ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের অডিটোরিয়াম হল রুমে অনুষ্ঠিত হয়।

টেকনাফে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব নুরুল বশরের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব মোর্শেদের সঞ্চালনায় জেল হত্যা দিবস, দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে ।

বিশেষ অতিথি ছিলেন টেকনাফ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আবুল কালাম, আওয়ামী লীগ নেতা সাবরাং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুর হোসেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা সাইফুদ্দিন খালেদ, আওয়ামী লীগ নেতা মৌলভী আজিজ উদ্দিন, মোহাম্মদ ইউসুফ ভূট্টো, ও সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হলিলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম বদি, বাহারছড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইফুল কোম্পানি, সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম মুন্না, পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম বাবলু।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল বশর বলেন, “৩রা নভেম্বর জেলহত্যা দিবস। বাঙালি জাতির জীবনে এক কলঙ্কজনক দিন। একাত্তরের পরাজিত অপশক্তি পাকিস্তানের দোসররাই জাতীয় চারনেতাকে অন্ধকার কারাগারে বিনা বিচারে নির্মমভাবে হত্যা করেছিল। বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চারনেতার আদর্শ ধারণ করে আমরা তরুণ প্রজন্মরা এগিয়ে যেতে চাই। জাতীয় চারনেতার হত্যাকাণ্ডের মদদদাতা স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তির দোসর খুনী জিয়া-মোশতাকের মরণোত্তর বিচার করতে হবে। একাত্তরে পরাজিত হওয়ার প্রতিশোধ নেয়ার জন্য পাকিস্তান নামক জঙ্গি রাষ্ট্র সেদিন স্বাধীন বিরোধী চক্র জিয়া-মোশতাককে মদদ দিয়ে ১৫ আগস্ট ও ৩রা নভেম্বর সংঘটিত করে বাংলাদেশের ইতিহাসে কলঙ্কজনক অধ্যায়ের সূচনা করেছিল। স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি বিএনপি-জামাত আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠার চেষ্টা করছে। রাজনীতির নামে সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও দেশবিরোধী কর্মকাণ্ড চালিয়ে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তির বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ও শহীদ জাতীয় চারনেতার আদর্শ ধারণ করে স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তির সকল ষড়যন্ত্র রুখে দিতে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড রাজপথে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার জন্য বিএনপি-জামাতের রাজাকারদের বিরুদ্ধে আমাদের এই সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে।”

সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব মোর্শেদ বলেন, “রক্তাক্ত ৩রা নভেম্বর শোকাবহ জেলহত্যা দিবসে বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর, জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান ও মহান মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী জাতীয় চার নেতা শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ, শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম, শহীদ এএইচএম কামরুজ্জামান ও শহীদ ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলীর প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে হত্যার পর একই বছরের ৩রা নভেম্বরে জাতীয় চারনেতাকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল। এসব হত্যাকাণ্ডের সাথে একাত্তরের পরাজিত অপশক্তি পাকিস্তান সরাসরি জড়িত ছিল। সরকারের নিকট দাবি, শোকাবহ ৩রা নভেম্বর জেলহত্যা দিবসকে রাষ্ট্রীয় ভাবে পালন করতে হবে। নতুন প্রজন্মের সামনে মুক্তিযুদ্ধের পরিপূর্ণ ইতিহাস তুলে ধরার জন্য জাতীয় চারনেতার সংগ্রামী জীবন ও কর্ম সকল শ্রেণীর পাঠ্যপুস্তকে সিলেবাস হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।”

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ,ও বিভিন্ন ইউনিট থেকে আগত নেতাকর্মীরা।

আরও

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সর্বশেষ খবর

error: Content is protected !!