বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় তিথি হল শুভ বুদ্ধ পূর্ণিমা। যথাযথ ধর্মীয় ভাবগম্ভীর পরিবেশে দেশব্যাপী বৌদ্ধ সম্প্রদায় দিনটি পালন করে থাকেন।
বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে মর্যাদাপূর্ণ এ দিবসটি পালিত হবে। এরমধ্যে, বুদ্ধপূজা দান, সংঘদান, অষ্টপরিষ্কার দান, ভিক্ষুসংঘকে পিণ্ডদান, জাতীয় ও ধর্মীয় পতাকা উত্তোলন, সূত্রপাঠ ও শ্রবণ, অষ্টশীল গ্রহণ, হাজার প্রদীপ প্রজ্জ্বলন, বিহার আলোকসজ্জা, শান্তি শোভাযাত্রা, ধর্মালোচনা সভা, দেশ ও বিশ্বশান্তি কামনায় সমবেত উপাসনা উল্লেখযোগ্য।
৪ মে সরকারি ছুটি অনুযায়ী আজ শুভ বুদ্ধ পূর্ণিমা উদযাপিত হচ্ছে। আবার পূর্ণিমাক্ষণ গণনা অনুযায়ী অনেক জায়গায় ৫ মে বুদ্ধ পূর্ণিমা উদযাপিত হবে। বিশেষ করে পূর্ণিমাক্ষণ কে কেন্দ্র করে উপোসথ শীল তথা অষ্টশীল পালনের প্রথা আছে বৌদ্ধ সমাজে। তাই অনেক স্থানে সেই অনুযায়ী পালিত হয়।
বৌদ্ধধর্ম মতে, আজ থেকে সুদীর্ঘ আড়াই হাজার বছর আগে বৈশাখী পূর্ণিমা দিনে সিদ্ধার্থ গৌতমের আবির্ভাব, বুদ্ধত্বলাভ হয়। আবার এই একই পূর্ণিমা তিথিতে গৌতম বুদ্ধ মহাপরিনির্বাণ লাভ করেন। এই তিনটি তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা বৈশাখী পূর্ণিমা দিনে ঘটেছিল বলে বৈশাখী পূর্ণিমার বহুল পরিচিত নাম বুদ্ধ পূর্ণিমা নামে খ্যাত।
খ্রিস্টপূর্ব ৬২৩ অব্দে গৌতম বুদ্ধ জন্মগ্রহণ করেন। ৫৮৮ খ্রিস্টপূর্বাব্দের এই দিনে তিনি বুদ্ধত্বলাভ করেন। আবার ৫৪৩ খ্রিস্টপূর্বাব্দের এ দিনে বুদ্ধ মহাপরিনির্বাণ লাভ করেন। গৌতম বুদ্ধের মহাপরিনির্বাণ লাভের পরবর্তী সময় থেকে বুদ্ধবর্ষ গণনাকাল শুরু হয়। সেই হিসেবে গৌতম বুদ্ধ আজ থেকে (২০২৩+৬২৩-৮০) ২৫৬৬ বছর পূর্বে মহাপরিনির্বাণ লাভ করেন। ২০২৩ খ্রিস্টাব্দের বুদ্ধ পূর্ণিমা উদযাপনের মধ্য দিয়ে আরো একটি বুদ্ধবর্ষ পূর্ণ হবে। অর্থ্যাৎ ২০২৩ সালে এসে আমরা মূলত ২৫৬৭ বুদ্ধবর্ষ কে বরণ করছি।
এদিকে, দিবসটি উলপক্ষে আজ (৪ মে) সরকারি ছুটির দিন। এ উপলক্ষে মহামান্য রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। বাণীতে তারা বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের মৈত্রীময় শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
অপরদিকে আজ (বৃহস্পতিবার) রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বঙ্গভবনের ক্রেডেনশিয়াল হলে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের লোকজনদের সঙ্গে শুভ বুদ্ধ পূর্ণিমার শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন।