সোমবার, অক্টোবর ২, ২০২৩

নিষেধাজ্ঞার পরও বাজার সয়লাব সামুদ্রিক মাছে

মিশু গুপ্ত:

নিষেধাজ্ঞার পরও বাজার সামুদ্রিক মাছে ভরে গেছে । ১০ জুলাই সরেজমিনে দেখা যায়, কক্সবাজার শহরের বড় বাজার, বাহারছড়া বাজার, কানাইয়ার বাজার, কেন্দ্রীয় মসজিদ সংলগ্ন বাজারে সমুদ্রের বিভিন্ন প্রজাতির মাছ বিক্রি করা হচ্ছে। সমুদ্র কুলে পাওয়া যায় না এমন মাছ সাজিয়ে রাখা হয়। তবে বেশিরভাগ সমুদ্র উপকূল ধরা মাছ বিক্রি হয়। মিঠা পানির মাছও রয়েছে প্রচুর। মাছ ধরা নিষিদ্ধের সময়কালে বাজারে সমুদ্রের মাছ কিভাবে প্রকাশ্যে বিক্রি হয় তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

গেল ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত সমুদ্রে মাছ ধরায় ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা চলছে। ২০ মে মধ্যরাত থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত তটরেখা থেকে মৎস্য সমুদ্রসীমা পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে।
এই সময়ে কোনো ফিশিং বোট, যান্ত্রিক নৌ যানসহ কোনো নৌযান দিয়ে মাছ শিকার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ বলে জানিয়েছেন মৎস্য অধিদপ্তর।

মৎস্য অধিদপ্তর সূত্র জানিয়েছে, সমুদ্রে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের নিরাপদ প্রজননে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। দেশের উপকূলীয় ১৪ জেলা ও ৬৫টি উপজেলায় ও সমুদ্র শহর কক্সবাজারও এই নিষেধাজ্ঞা চলছে।
তবে শহরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র।সমুদ্রে মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা চললেও এসব বাজার সয়লাব বিভিন্ন প্রজাতির সামুদ্রিক মাছে।

শহরের বড়বাজার,বাহারছড়া বাজার,কানাইয়া বাজার, কালুরদোকান বাজার,এছাড়া খুরুশখুল রাস্তার মাথাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কের মোড়ে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলে বিকিকিনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েক জন মাছ ব্যবসায়ী প্রশ্ন জানান নিষেধাজ্ঞা না থাকাকালীন সময়ে ধরে আনা মাছ গুলো কোল্ড স্টোরেজে সংরক্ষণ করা হয় । বর্তমানে নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন সময়ে সংরক্ষণ করা সেই মাছ গুলো বাজারজাত করা হচ্ছে।

অন্যদিকে কয়েকজন জেলে বলছে ৬৫ দিন নিষেধাজ্ঞা থাকায় খুব কষ্ট দিক কাটছে,তাই বাধ্য হয়ে প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে চুরি করে সাগরে মাছ শিকার করছে।
আবার কয়েকজন জেলে বলছে তারা রাতের আঁধারে ঝাঁকি জাল ও বড়শি দিয়ে সমুদ্র ও নদীর তীর মাছ শিকার করে তা বাজারজাত করছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,বাজারে বিক্রি হওয়া মাছের মধ্যে জাটকা ও মাছের পেটে অপরিপক্ক ডিমের থলি রয়েছে।
গত ৮ জুলাই সমুদ্র সৈকতের লাবণী পয়েন্ট জোয়ারের টানে একটি মাছ ধরার নৌকা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ভেসে আসে।পরে দেখা যায় সেই নৌকা থেকে কারেন্ট ব্যবহার করে ধরা মাছ ছড়ানো হচ্ছে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে জেলার মৎস অফিসার মোঃ বদরুজ্জামান বলেন,নিষেধাজ্ঞার বাস্তবায়ন করতে উপজেলা র্নিবাহী কর্মকর্তাদের সাথে নিয়ে নিয়মিত অভিযান চালানো হচ্ছে।

আরও

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সর্বশেষ খবর