শহিদুর রহমান রাফি ঈদগাঁও প্রতিনিধি:
টানা বৃষ্টিতে হঠাৎ বন্যা, তলিয়ে গেছে কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম। রবিবার দিবাগত রাত থেকে ভারী বর্ষণের ফলে পাহাড়ি ঢল নেমে এসেছে ঈদগাঁও খালে, ফলে বন্য সৃষ্টি হয়েছে বর্ণিত ইউনিয়ন সহ পোকখালী ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামে।
জালালাবাদ ইউনিয়নের রাবার ড্যাম ব্রীজের পশ্চিমে দুই নাম্বার ওয়ার্ডে খালের বেড়িবাঁধ ভেঙে পানিতে ডুবেছে দুই নাস্বার ওয়ার্ড সহ তিন নাম্বার ওয়ার্ডের বেশ কিছু গ্রাম। এতে তলিয়ে গেছে মানুষের ঘরবাড়ি, ফসলী ক্ষেত সহ পুকুর। এতে দুর্ভোগে দিন পার করছে মানুষ। অন্যদিকে পোকখালী ইউনিয়নের কবি নুরুল হুদা সড়কের নির্মাণাধীন ব্রিজের বিকল্প ব্রীজ হিসেবে তৈরি করা বাঁশের ব্রীজটি ভেঙে যায়, ফলে মানুষের যাতায়াতের সমস্যা দেখা দিয়েছে। এছাড়াও পোকখালী ইউনিয়ন নিম্নাঞ্চল হওয়ায় বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে বেশ কিছু গ্রাম।
এলাকাবাসী জানান, উপজেলার রাবার ড্যাম থেকে পোকখালী ইউনিয়ন পর্যন্ত ইসলামাবাদ – জালালাবাদ ইউনিয়নের দুপাশের বেড়িবাঁধ টেকসই না হওয়ায় প্রতি বর্ষায় পাহাড়ি ঢল নেমে কোন না কোন স্থান থেকে ভেঙে যায়, এতে মানুষ চরম দুর্ভোগে। ঈদগাঁও খালের দুই পাশের বেড়িবাঁধ টেকসই ভাবে নির্মান করার দাবী জানান স্থানীরা।
জালালাবাদের আব্দুল খালেক জানান,পূর্ব লরাবগ থেকে বেড়িবাঁধ ভাঙ্গনের ফলে বন্যার পানি বাড়িতে প্রবেশ করে, ফলে রান্না সহ বন্ধ হয়ে যায়, বাড়ি থেকে বের হওয়া যাচ্ছে না, বর্তমানে পানিবন্দী অবস্থায় আছি। এছাড়াও কয়েকজন কৃষক জানান, জলাবদ্ধতার কারণে জমিতে বন্যার পানি জমে আছে, ফলে জমিতে থাকা ধানের চারা গাছ পচেঁ যাওয়ার ভয়ে আছি।
এ বিষয়ে কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী তানজির সাইফ আহমেদ বলেন, পাহাড়ি ঢলের প্রভাবে জালালাবাদে যে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে তা সাথে সাথেই জিও ব্যাগ দিয়ে বন্ধ করা হয়েছে। বেড়িবাঁধ ভাঙ্গন রোধে যথেষ্ট জিও ব্যাগ মজুদ রাখা হয়েছে৷ খালের বেড়িবাঁধ নির্মাণের বিষয়ে তিনি বলে, কক্সবাজারে ৬০০ কিলোমিটার বাঁধ আছে, যে জায়গা গুলো বেশি গুরুত্বপূর্ণ সে জায়গায় ঠিকমতো মেরামত করা হয় , সব জায়গার বাজেট না পাওয়ায় ঈদগাঁও খালের বেড়িবাঁধ কিছুটা বাকি আছে, যে জায়গায় বেশি ক্ষতি হচ্ছে শুষ্ক মৌসুমে সে জায়গায় টেন্ডার করে মেরামত করা হবে।