প্রেস বিজ্ঞপ্তি :
সাদাকে সাদা আর কালোকে কালো বলার এমন সাহস রাখে বলেই প্রথম আলো আজ দেশের শীর্ষ দৈনিক, সকল শ্রেণিপেশার মানুষের প্রিয় পত্রিকা হতে পেরেছে। যত বাঁধা-বিপত্তি আসুক না কেন-প্রথম আলো তাঁর নীতি থেকে বিন্দুমাত্র পিছপা হবে না। ভয়-শঙ্কা, হামলা, মামলাকে তুচ্ছ ভেবে প্রথম আলো সবসময় সত্য বলে যাবে, ন্যায়ের পথে অবিচল থাকবে পাঠক হিসাবে প্রথম আলোর কাছে আমাদের চাওয়া এটুকুই।
প্রথম আলোর ২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ৮ নভেম্বর শুক্রবার বিকালে কক্সবাজার প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত সভায় বক্তারা এসব কথা তুলে ধরেন। অনুষ্টানে যোগ দেন, শিক্ষক-চিকিৎসক, আইনজীবী, কবি-সাহিত্যিক, পরিবেশ, মানবাধিকার ও সমাজকর্মী, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থী, পত্রিকার হকারেরা। বন্ধুসভা এ সভার আয়োজন করে।
সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়। পরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে নিহত ব্যক্তিদের স্মরণে এক মিনিট দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করা হয়।
কক্সবাজার বন্ধুসভার সাধারণ সম্পাদক নুরুল আবছারের সভাপতিত্বে অনুষ্টিত সভায় প্রধান ও বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন শিক্ষাবিদ ও কক্সবাজার বায়তুশশরফ কমপ্লেক্সের মহাপরিচালক এম এম সিরাজুল ইসলাম, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো, নাছির উদ্দিন, কক্সবাজার প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মমতাজ উদ্দিন বাহারী, হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডার্স ফোরাম কক্সবাজারের সভাপতি ও সিনিয়র আইনজীবী আবদুস শুক্কুর, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ফরিদ আহমদ, কবি- সাহিত্যিক ও সমাজকর্মী শামীম আক্তার, কক্সবাজার বন ও পরিবেশ সংরক্ষণ পরিষদ সভাপতি দীপক শর্মা দীপু।
শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন প্রথম আলো কক্সবাজার আঞ্চলিক অফিস প্রধান ও সিনিয়র সাংবাদিক আব্দুল কুদ্দুস রানা। তিনি প্রথম আলোর সামাজিক কর্মকান্ড এবং দেশ গঠনে প্রথম আলোর ভূমিকার কথা তুলে ধরেন।
প্রথম আলোর একনিষ্ট পাঠক দাবী করে শিক্ষাবিদ এম এম সিরাজুল ইসলাম বলেন, প্রতিষ্ঠার পর থেকে টানা ২৬ বছর প্রথম আলো পড়ছেন। প্রথম আলো কঠির চাপের মধ্যেও সাদাকে সাদা এবং কালোকে কালো বলার সাহস দেখিয়ে যাচ্ছে। প্রভাবশালী মহলে রোষানলে পড়ে কখনোও নতি স্বীকার করেনি। ঝুঁকি নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করে দেশের মানুষকে সত্যটা জানানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এখনো রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে বস্তুনিষ্ট সাংবাদ পরিবেশন করে আসছে। যে কারণে প্রথম আলো দেশের শীর্ষ দৈনিক, সকল শ্রেণিপেশার মানুষের আস্থা ও ভালোবাসার দৈনিক হতে পেরেছে। যত ভয়-চাপ, হামলা-মামলা আসুক-প্রথম আলো তাঁর নীতি থেকে বিন্দুমাত্র নড়চড় করবে না। এটাই পাঠক হিসাবে আমাদের প্রত্যাশা।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো, নাছির উদ্দিন বলেন, তিনিও ২৬ বছর ধরে প্রথম আলোর পাঠক। বস্তুনিষ্ট সংবাদ প্রকাশের পাশাপাশি প্রথম আলো স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীর মেধার বিকাশে, তারুণ সমাজের ভবিষ্যত গড়তে নানা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে চলেছে। যা অন্য পত্রিকাতে দেখা যায় না। প্রথম আলো সত্য বলা থেকে সরে আসবে না-এটাই প্রত্যাশা।
কবি শামীম আক্তার বলেন, তিনিও ২৬ বছর ধরে প্রথম আলোর পাঠক। বস্তুনিষ্ট সংবাদ পরিবেশের পাশাপাশি প্রথম আলো শিক্ষার্থীর গণিত ভীতি দূর করতে দেশব্যাপী আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াড, এসএসসি ও সমমানের জিপিএ-৫ প্রাপ্ত কৃতীদের সংবর্ধনা, বিতর্ক উৎসব, ফিজিক্স অলিম্পিয়াড, প্রিয় শিক্ষক সংবর্ধনা দিয়ে আসছে। পাশাপাশি মাদক ও এসিড সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সচেতনমুলক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। ভালো কাজের সঙ্গে থাকে বলেই প্রথম আলো নিয়ে অনেকে সমালোচনা করেন। কিন্তু দিন শেষে প্রথম আলোই ঠিকে থাকে। প্রথম আলোকে আমরা সেল্যুট জানাই।
মানবাধিকার কর্মী ও আইনজীবী আবদুস শুক্কুর বলেন, ২৬ বছর ধরে প্রথম আলো পড়ছি-আস্থা কমেনি মোটেও। মাদক, সন্ত্রাস, দুর্নীতি রোধসহ সমাজ পরিবর্তনের জন্য প্রথম আলোর মত সাহসী কন্ঠের দরকার আছে। প্রথম আলো এবার ছাত্র-জনতার আন্দোলন নিয়ে ‘জেগেছে বাংলাদেশ’ স্লোগানে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আয়োজন করেছে। এজন্য প্রথম আলোকে ধন্যবাদ জানাই।
কক্সবাজার প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মমতাজ উদ্দিন বলেন, কঠিন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে প্রথম আলোর পথ চলা। সত্য বলতে গিয়ে অনেকের বিরাজভাজন হতে হয়। কিন্তু তাতে সাহস হারিয়ে ফেললে চলবে না।
দীপক শর্মা দীপু বলেন, সত্য বলার সাহস দেখায় বলে নানা মহলেও চাপের মুখে পড়তে হয়েছে। প্রথম আলোর কন্ঠ স্তব্দ করার চক্রান্ত হয়েছে বহুবার। কিন্তু প্রথম আলোর সত্য বলা থেমে থাকেনি। সত্যকে জয় করে প্রথম আলো রাজনৈতিক ও মাদকের গডফাদারদের মুখোশ উন্মোচন করে চলেছে। যে কারণে পাঠকেরা প্রথম আলোকে ছাড়তে পারেন না।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বন্ধুসভার সাংগঠনিক সম্পাদক উলফাতুল মোস্তফা রানা। অনুষ্টানে সংগীত পরিবেশ ও কবিতা আবৃত্তি করেন বন্ধুসভার সদস্য পুর্ণিতা বড়ুয়া, অর্পিতা দে ও কুলচুমা ইয়াছমিন। সবশেষে কেক কেটে প্রথম আলোর ২৬তম জন্মদিন উদযাপন করা হয়। সঙ্গে চলে মিষ্টি বিতরণ।