সাইদুল ফরহাদ :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দোহাজারী কক্সবাজার রেললাইন উদ্বোধন করবেন কক্সবাজারে। শনিবার (১১ নভেম্বর ) সকালে কক্সবাজার সদরের ঝিলংজা ইউনিয়নের চান্দের পাড়ায় ঝিনুক আকৃতির আইকনিক রেল স্টেশনে এই টিকিট কেটে রেলে চড়ে উদ্বোধন করবেন। ওই দিন বেলা আড়াইটায় দ্বীপ উপজেলা মহেশখালী আওয়ামী লীগের দলীয় জনসভায় ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। কক্সবাজার শহরের বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে বড় বড় ফটক করা হয়েছে, সড়কের দুই পাশে পোস্টার ও ব্যানারে ছেয়ে গেছে। আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের দাবি, লক্ষাধিক লোকের সমাগম হবে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে।

দলীয় নেতাকর্মী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর সফরকে ঘিরে নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে বিরাজ করছে উৎসবমুখর পরিবেশ। প্রকল্প এলাকাসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে এখন সাজ সাজ রব। প্রতিটি মোড়ে মোড়ে একাধিক তোরণ নির্মাণ করা হয়েছে। রঙবেরঙের ব্যানার, ফেস্টুন আর তোরণে ছেয়ে গেছে মহাসড়কসহ প্রধান প্রধান সড়ক। বিশেষ করে মহেশখালী বাজার থেকে মাতারবাড়ী পর্যন্ত সড়কে তোরণ ও ব্যানারে ছেয়ে গেছে।
প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে আগে থেকেই জেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীসহ সমর্থকরা প্রতিটি ইউনিয়ন, পৌরসভা, ওয়ার্ডে সভা-সমাবেশ করেছেন এবং ব্যানার ফেস্টুন ও পোস্টার লাগিয়ে প্রচারণা চালিয়েছেন।
নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎসব মুখর পরিবেশ বিরাজ করছে উল্লেখ করে স্থানীয় সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। এই প্রথম মহেশখালীতে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা হচ্ছে। এই জনসভায় কয়েক লাখ মানুষের সমাগম হবে। নেত্রী আমাদের মহেশখালীকে অনেক দিয়েছে নতুন করে আর চাওয়ার কিছু নেই।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আগমনের প্রচরা শহর থেকে শুরু করে মহল্লা পর্যন্ত করা হয়েছে। এই জনসভায় কয়েক লাখ মানুষের সমাগম হবে। পুলিশ প্রশাসন সহ সংশ্লিষ্টরা পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন। আশা করছি, সুন্দরভাবে উদ্বোধন অনুষ্ঠান সম্পন্ন হবে।
টেকনাফের আওয়ামী লীগ নেতা হাজি আজিজুর রহমান বলেন, ব্রিটিশ গেল, গেল পাকিস্তান, এরপর স্বাধীনতার ৫২ বছর পেরিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার আমলে কক্সবাজারে ট্রেন আসছে।এটির অবদান একমাত্র প্রধানমন্ত্রীর।আমরা কক্সবাজার জেলাবাসী প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞ।

এদিকে আগামী শনিবার ১১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমন উপলক্ষে কক্সবাজারে সকল প্রকার বৈধ অস্ত্র বহন ও প্রদর্শন নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাহীন ইমরান।
তিনি বলেন, জেলার আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরের সময় নিরাপত্তা নিশ্চিতের লক্ষ্যে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।