নিউজ ডেস্ক:
সাম্প্রতিক রাজধানীর বেইলী রোডের অগ্নি-দুর্ঘটনার পর কক্সবাজারের আবাসিক হোটেলগুলোর অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা নিয়ে প্রতিবেদনের জন্য তারকামানের হোটেল লংবীচে যান চ্যানেল ২৪ টেলিভিশনের কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি ও সিসিএন এর বার্তা সম্পাদক আজিম নিহাদ ।
ইন্টারভিউর বিষয় জানানোর পর বীচ হোটেলের কর্মকর্তা সরওয়ার রাগান্বিত স্বরে দুর্ব্যবহার শুরু করেন । সেই সাথে অশালীন মন্তব্য করেন সাংবাদিকতা পেশা নিয়েও।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স কক্সবাজার কার্যালয় থেকে লং বীচ হোটেলের ফায়ার সেফটি নিয়ে প্রাপ্ত তথ্য যাচাই করার জন্য সোমবার (৪ মার্চ) দুপুর ২ টা ১৮ মিনিটের দিকে কলাতলীর তারকামানের হোটেল লংবীচে গেলে এই ঘটনাটি ঘটে।
সাংবাদিক আজিম নিহাদ জানান, ” সেখানকার যথাযথ সিকিউরিটি সিস্টেম মেনে দায়িত্বরত কর্মকর্তার সাথে ফায়ার সেফটির বিষয় নিয়ে কথা বলতে চাইলে তারা অপেক্ষা করতে বলেন। পরে দুই মিনিটের মধ্যে লং বীচ হোটেলের কর্মকর্তা সরওয়ার এসে কোন বিষয় নিয়ে ইন্টারভিউ করবো তা জানতে চায়। তাকে পুনরায় ইন্টারভিউর বিষয় জানানোর পর তিনি রাগান্বিত স্বরে পরামর্শ দেন তাদেরকে না করে সরকারের কাছে প্রশ্ন করতে। এক পর্যায়ে দুর্ব্যবহার শুরু করেন তিনি। অশালীন মন্তব্য করেন সাংবাদিকতা পেশা নিয়েও। পর্যটকসহ সবার সামনে অশ্রাব্য ভাষায় উচ্চস্বরে কথা বলে মারধর করতে চেষ্টা করেন। নাজেহাল করার একপর্যায়ে সিকিউরিটি গার্ডদের হুকুম দেন গলাধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়ার। ”
এপ্রসঙ্গে হোটেল লংবীচের অভিযুক্ত সেলস ম্যানেজার মো. সরওয়ার মুঠোফোনে জানান, “আমাদের সকল কাগজপত্র ঠিকঠাক রয়েছে। তবে দুপুরে আগত সাংবাদিকের ক্যামেরা চালু ছিলো। অনুমতি ছাড়া ক্যামেরা চালু থাকায় আমরা উত্তেজিত হয়ে পড়ি। এর বেশি কিছু নয়।”
এসময় সাংবাদিক আজিম নিহাদের সাথে ক্যামেরা পার্সন সাদেক হোসেন খোকা ও সিসিএন এর সাংবাদিক মিকাত হোসেনও ছিলেন।
এদিকে সাংবাদিক লাঞ্চনার ঘটনায় লংবীচকর্মকর্তার শাস্তির দাবি কক্সবাজারে কর্মরত সাংবাদিকদের।