রিজন বড়ুয়া, কক্সবাজার (রামু) :
” Stop killing children in Palestine ” শিরোনামে ফিলিস্তিনে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী কর্তৃক বর্বরোচিত শিশু হত্যার প্রতিবাদে সামাজিক সংগঠন স্বপ্ন কর্তৃক গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
রবিবার ( ২২ অক্টোবর ) সকাল ১১ টায় রামু চৌমুহনী চত্বরে স্বপ্ন সংগঠনের সভাপতি মোবিনুল হাসান নয়নের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক শাহিদ রায়হানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন স্বপ্ন সংগঠনের চেয়ারম্যান সুমথ বড়ুয়া।

বক্তব্যে তিনি বলেন,”রামু কলম চত্বর থেকে এই কর্মসূচি শুরু হয়ে কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয় পর্যন্ত সর্বসাধারণের গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করে মাননীয় কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরানের নিকট হস্তান্তরের মধ্য দিয়ে এই কর্মসূচি শেষ হবে।”
তিনি আরও বলেন, “ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি বাহিনীর নারকীয় হত্যাযজ্ঞে নির্বিচারে শিশু হত্যা করা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক জেনেভা কনভেনশন আইনের ১৪ নং অনুচ্ছেদের বাস্তবায়নের মাধ্যমে যুদ্ধক্ষেত্রে শিশুদের নিরাপদ রাখার দাবি জানাচ্ছি। সেইসাথে নির্মম এই হত্যাযজ্ঞে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হওয়ায় আন্তর্জাতিক আদালতে উক্ত ঘটনায় অভিযুক্তদের বিচারের দাবি জানাচ্ছি। “
এ সময় মানববন্ধনে অংশ গ্রহণকারীদের হাতে ‘উই সাপোর্ট ফিলিস্তিন’, ‘ফ্রি ফর ফিলিস্তিন’, ‘স্টপ কিলিং চিলড্রেন ইন ফিলিস্তিন’, ‘ মানবতার পক্ষে সোচ্চার হই’,‘’ লেখা বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড দেখা যায়।
এছাড়াও সাংবাদিক অর্পন বড়ুয়া বলেন, ” আমরা ইতিমধ্যে দেখেছি ফিলিস্তিনের উপর অমানবিক হামলা হয়েছে। সকল হামলা, সকল নৃশংসতা, সকল অমানবিকতার বিরুদ্ধে বাংলাদেশকে এবং বাংলাদেশের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। “

রামু উপজেলা সেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি তপন মল্লিক বলেছেন, ” ফিলিস্তিনের সাধারণ মানুষের প্রতি যে জুলুম-নির্যাতন চলমান তার প্রতিবাদে আজ দেশব্যাপী শোক পালন করছে, জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করা হয়েছে। বছরের পর বছর ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের নির্মম হত্যাযজ্ঞের পক্ষ নিয়ে সাম্রাজ্যবাদী আমেরিকা বক্তব্য প্রদান করছে। একদিকে সারাবিশ্বে তারা মানবতার কথা বলে, আরেকদিকে তারা দখলদার ইসরায়েলের পক্ষে অবস্থান নিচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন, ” ১৯৭১ সালে বাঙালি জাতির উপর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী যেভাবে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিলো ঠিক তেমনিভাবে ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি বাহিনী হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে। তারা যেভাবে হাসপাতালে বোমা নিক্ষেপ করছে,শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বোমা নিক্ষেপ করছে এরচেয়ে জঘন্যতম যুদ্ধাপরাধ আর হতে পারেনা। আমরা মুক্তিকামী জনতার প্রতি সংহতি জানাচ্ছি।”