সিসিএন অনলাইন ডেস্ক:
বাংলাদেশের বহুল প্রত্যাশিত দুটি ঋণ আবেদন অনুমোদন করেছে ওয়াশিংটনভিত্তিক দাতা সংস্থা আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল আইএমএফ। সরকারের অনুরোধে দুই প্যাকেজে চার দশমিক সাত বিলিয়ন ডলারের ঋণ অনুমোদন করেছে আইএমএফ।
ঋণ অনুমোদনের পর বহুজাতিক সংস্থাটি বলছে, সাড়ে তিন বছর মেয়াদী এই ঋণ বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনীতিতে তৈরি হওয়া ঝুঁকি প্রশমনে সহায়ক হবে।
অবশ্য ঋণ পেতে এরই মধ্যে জ্বালানী তেল, গ্যাস এবং বিদ্যুৎ এর দাম বাড়াতে হয়েছে সরকারকে।
বাংলাদেশ সময় সোমবার দিবাগত মধ্য রাতে সংস্থাটির নির্বাহী পর্ষদ এ ঋণ আবেদন অনুমোদন করে।
পরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানায় আইএমএফ।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এক্সটেনডেড ক্রেডিট ফ্যাসিলিটি ও এক্সটেনডেড ফান্ড ফ্যাসিলিটি তহবিলের আওতায় ৩৩০ কোটি ডলার ঋণ পাবে বাংলাদেশ। এছাড়া রেজিলিয়েন্ট অ্যান্ড সাসটেইনেবল ফ্যাসিলিটি তহবিল থেকে বাংলাদেশকে ১৪০ কোটি ডলার ঋণ দেবে আইএমএফ। ৪২ মাসে ১২ কিস্তিতে মিলবে ঋণের অর্থ। প্রায় ৪৮ কোটি ডলারের প্রথম কিস্তি ফেব্রুয়ারিতেই পাবে বাংলাদেশ।
বিজ্ঞপ্তিতে আইএমএফ বলেছে, করোনা ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। যা মোকাবিলায় নানা উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।
এদিকে, ঋণ অনুমোদন করায় আইএমএফের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আহম মুস্তফা কামাল।
তিনি বলেছেন, আইএমএফের ঋণ প্রমাণ করে বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনীতি শক্ত ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে আছে।
সূত্র: একাত্তর টিভি