সিসিএন অনলাইন ডেস্কঃ
পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও এর আশে পাশে অবস্থানরত নিম্নচাপটি উত্তর-পূর্ব দিকে এগিয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছেন, গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালার সৃষ্টি হচ্ছে। সেই মেঘ ভেসে এসে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি ঝরাচ্ছে।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ বলেন, ‘শুধু ঢাকায় না, দেশের বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টি হচ্ছে। বিশেষত দেশের দক্ষিণাঞ্চলে বৃষ্টিপাত হচ্ছে।’
গভীর সঞ্চালনশীল মেঘে ঢাকায় আজ আবারও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান তিনি।
বজলুর রশিদ বলেন, ‘আগামীকাল ও পরশু বৃষ্টি বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে, এখন পর্যন্ত আবহাওয়া বিশ্লেষণ করে যা বোঝা যাচ্ছে, এটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেওয়ার সম্ভাবনা নেই।
এদিন সকাল ৬টায় গভীর নিম্নচাপটি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৮৫ কিলোমিটার, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৪৫ কিলোমিটার এবং মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল।
গভীর নিম্নচাপের কেন্দ্রের কাছাকাছি এলাকায় সাগর উত্তাল এবং এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্রবন্দরগুলোর ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
নৌ দুর্ঘটনা এড়াতে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানিয়েছে, গভীর নিম্নচাপের কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার। এটি দমকা হাওয়া আকারে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
এদিন সকাল ৯টা পর্যন্ত এর আগের তিন ঘণ্টায় রাজধানী ঢাকায় এক মিলিমিটার, আরিচায় ছয়, বাঘাবাড়িতে দুই, চট্টগ্রামে দুই, কক্সবাজারে পাঁচ, কুতুবদিয়ায় চার, টেকনাফে তিন ও যশোরে দুই মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।