সিসিএন অনলাইন ডেস্ক:
সমাজে তুচ্ছ কারণে সহিংসতার ঘটনা ঘটে। কলহ-বিবাদ বাড়ে। অশান্তি সৃষ্টি হয়। জেন্ডার বৈষম্যের কারণে সহিংস ঘটনার জন্ম। বিশেষ করে, পুরুষতান্ত্রিক পরিবারে নারীরা অবহেলিত। সমাজের শান্তি ও স্থিতিশীলতার প্রয়োজনে নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধে ব্যাপক গণসচেতনতা গড়ে তুলতে হবে।
সোমবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে সার্ভিস প্রোভাইডারদের সঙ্গে ব্র্যাকের হেলথ এন্ড জেন্ডার সাপোর্ট প্রোজেক্টের হাফ ইয়ারলি কোঅর্ডিনেশন মিটিংয়ে এসব কথা উঠে আসে।
জেলা কো-অর্ডিনেটর অজিত নন্দির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ডিস্ট্রিক্ট কনসালটেন্ট (এফপিসিএসকিউআইটি) ডা. মোহাম্মদ রাকিব উল্লাহ।
তিনি বলেন, সর্বপর্যায়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে পারলেই আমাদের কাজের সার্থকতা। আসবে সফলতা। সে জন্য প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো মজবুত হওয়া চাই।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সদর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রাদিয়া আফরোজ।
শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন প্রজেক্ট ম্যানেজার খালেদা আকতার লাবণি।
তিনি বলেন, প্রতিদিন ২/৩ জন নারী জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতার শিকার। তাদের প্রয়োজনীয় সাপোর্ট দিচ্ছে ব্র্যাক।
মা-মায়ের সমস্যা সমাধানে স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদি কর্মপরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছি, জানালেন খালেদা আকতার লাবণি।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা কো-অর্ডিনেটর অজিত নন্দি বলেন, আমাদের সমাজে এখনও জেন্ডার বৈষম্য রয়ে গেছে। নারীদের সঠিক মূল্যায়ন হয় না। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে কঠিন অবস্থা। তৃণমূল পর্যায়ে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে আমরা টার্গেটভিত্তিক কাজ করছি।
অনুষ্ঠানে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টের মাধ্যমে ব্র্যাকের ডিএম (ক্যাপাসিটি), কেস ম্যানেজার, ডিএম (ক্যাপাসিটি কেস ম্যানেজার) বিভিন্ন কর্মসূচি ও কর্মকাণ্ডের চিত্র তুলে ধরেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।