সিসিএন অনলাইন ডেস্ক:
ময়মনসিংহের মধুপুর ফল্টে যদি ৭ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্প হয় তাহলে রাজধানীর প্রায় ৭২ হাজার ভবন ধসে পড়বে বলে আশঙ্কার কথা জানিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের।
আর্থ অবজারভেটরি সেন্টার বলছে, ইন্ডিয়ান, ইউরেশিয়ান ও মিয়ানমার এই তিনটি প্লেটের সংযোগস্থলে রয়েছে বাংলাদেশ। তাই, এ অঞ্চলে বড় ধরনের ভূমিকম্পের ঝুঁকি রয়েছে।
শক্তিশালী ভূমিকম্পে ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে তুরস্ক ও সিরিয়ার বিভিন্ন শহর। এ ঘটনায় আবারও আলোচনায় ঢাকা। কেননা বিশ্বে ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে থাকা শহরগুলোর অন্যতম, বাংলাদেশের রাজধানী।
ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণে বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছেন গবেষকরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ভালনারিবিলিটি স্টাডিজের পরিচালক দিলারা জাহিদ বলছেন, ভূমিকম্প সহনশীল নয় এমন ভবন চিহ্নিত করে সেগুলো সংস্কার বা ধ্বংস করতে হবে। পাশাপাশি দুর্যোগ পরবর্তী সংকট মোকাবিলায় তৈরি করতে হবে প্রশিক্ষিত উদ্ধারকর্মী।
ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী বলছেন, ঢাকার ৬০ ভাগ ভবনই মূল নকশা পরিবর্তন করে গড়ে ওঠায় বড় ভূমিকম্পে সেগুলো ধসে পড়তে পারে। এছাড়া, সরু রাস্তার কারণে ব্যাহত হবে উদ্ধার তৎপরতা।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মিজানুর রহমান বলছেন, ভূমিকম্প পরবর্তী দুর্যোগ মোকাবিলায় ১০টি বড় শহরে আপৎকালীন পরিকল্পনা করা হয়েছে। ২ হাজার ৩শো কোটি টাকার সরঞ্জাম কিনে বিভিন্ন সংস্থাকে হস্তান্তর করা হচ্ছে।
ভূতত্ত্ব গবেষকরা বলছেন, সাধারণত ১০০ বছর পরপর বড় ধরনের ভূমিকম্প হয়। সবশেষ ১৯১৮ সালে মধুপুর ফল্টে বড় ভূমিকম্প হয়েছিল। সে হিসেবে আরেকটি ভয়াবহ ভূমিকম্পের দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ।
সূত্র: ইন্ডিপেন্ডেট টিভি