মিকাত হোসেন:
চলমান সদর উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন বর্তমান চেয়ারম্যান কায়সারুল হক জুয়েল। গেলো ২৩ এপ্রিল মনোনয়ন যাচাই বাছাই শেষে প্রতিক বুঝে পাওয়ার পর ও শনিবার ২৭ এপ্রিল কক্সবাজার প্রেসক্লাবের এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের সামনে কায়সারুল হক জুয়েল এই কথা বলেন।
এসময় জুয়েল বলে, বিগত কয়েকদিন যাবৎ ধরে আমি অবলোকন করছি চলমান সদর উপজেলা নির্বাচন বিগত পৌর-নির্বাচনের মত প্রহসনের নির্বাচন হতে চলেছে। আমি অনুধাবন করছি যে একটি উচ্চ ভিলাশী ক্ষমতা লোভী প্রভাবশালী গোষ্ঠী দূবৃত্তায়নের মাধ্যমে নির্বাচনী রিটার্নিং অফিসার সহ জেলা নির্বাচন অফিসকে জিম্মি করে তাদের ইচ্ছামত ব্যবহার করছে। এই শক্তিশালী সিন্ডিকেটের কাছে সিভিল প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনসহ সকলের চরম ভাবে অসহায়। তারা বিগত পৌর-নির্বাচনের মত পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে প্রশাসনকে ব্যবহার করে চরম কারচুপির মাধ্যমে জয় লাভে নীল নকশা চুড়ান্ত করেছে। এমতাবস্থায় বিষয়টি আমরা পারিবারিক ভাবে অনুধাবণ করে, আমার কর্মী-সমর্থক ও শুভাক্ষাঙ্খীদের সাথে আলোচনা করে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি যে, আমি এই প্রহসনের নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াবো অর্থাৎ নির্বাচন করবো না। তাই আমি চলমান সদর উপজেলা নির্বাচনের চেয়ারম্যান পদের প্রার্থীতা আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রত্যাহার করলাম। আজ থেকে আমি এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থী নই।
এসময় কায়সারুল হক জুয়েল আনারস প্রতীকের আরেক চেয়ারম্যান প্রার্থী মুজিবুর রহমাকে ইঙ্গিত করে বলেন,চলমান নির্বাচনে চরম দূর্নীতিবাজ, নারী লোভী, চরিত্রহীন, ভূমিদস্যু ও মনোনয়ন বাণিজ্যকারী মুজিবুর রহমান আনারস প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন। আমি আপনাদের মাধ্যমে কক্সবাজার সদর উপজেলাবাসীকে বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি যে, এই দুর্নীতিবাজ দুর্বৃত্তকে আপনারা ঘৃণা ভরে প্রত্যাখার করুন। সে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে উপজেলা পরিষদ দালাল, টাউট ও ভূমিদস্যুদের অভয়ারণ্যে পরিণত হবে এবং উপজেলাবাসী তাদের হাতে জিম্মি হয়ে থাকবে। আমি চাইনা মুজিবুর রহমান সদর উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হউক।
এছাড়া তিনি আরোও বলেন, আপনাদের প্রশ্ন থাকতে পারে, আমি কাউকে সমর্থন করছি কিনা? আমি আপাতত কাউকে সমর্থন করছি না। পরিবেশ পরিস্থিতি বলে দিবে আমার করণীয় কি।
এসময় জুয়েল সাংবাদিকদের কোনো প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে তার সংবাদ সম্মেলন শেষ করেন।