সিসিএন ডেস্ক:
গত ২২ জানুয়ারি কক্সবাজারে মেরিন ড্রাইভে বাইক চালাতে গিয়ে দুর্ঘটনায় নিহত কলেজছাত্রী ফারহানা আফরিন শিফা নামক এক কলেজ ছাত্রীর লাশ উদ্ধার করেছিলো পুলিশ। এবার সে ঘটনায় মোটরসাইকেল চাপায় হত্যার অভিযোগে মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের বাবা মোঃ আবছার উদ্দিন বাদী হয়ে গত রবিবার (৩মার্চ) সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট টেকনাফ আদালতে মামলাটি করেছেন। যার সিআর মামলা নং-১০০/২৪।
মামলার একমাত্র আসামি শহিদুল আমিন তানিভ (২২) কক্সবাজার সদরের ঝিলংজা পশ্চিম লার পাড়ার মোঃ জাহেদুল আলমের ছেলে। বাদি রামুর কচ্ছপিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্তপূর্বক ১১ মার্চের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য টেকনাফ থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক মো. এহসানুল ইসলাম। বাদির পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন কক্সবাজার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর স্পেশাল পি.পি এডভোকেট একরামুল হুদা।
নিহত ফারহানা আফরিন শিফা কক্সবাজার সরকারি কলেজের দ্বাদশ বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী।
গত ২২ জানুয়ারি টেকনাফ বাহারছড়া কচ্ছপিয়া এলাকায় মেরিন ড্রাইভ রোড থেকে তার লাশ উদ্ধার হয়। শহিদুল ইসলাম তানিভকে আহত অবস্থায় কক্সাবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিলো। এই ঘটনার জন্য শহিদুল আমিন তানিভকে দায়ী করেছেন শিফার পরিবার।
নিহতের পিতা মোঃ আবছার উদ্দিন মঙ্গলবার (৫ মার্চ) সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে বলেন, আমার মেয়েকে ফুসলিয়ে ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে তুলে শহিদুল আমিন তানিভ নামক বখাটে ছেলে। বিষয়টি আমরা অবগত হলে তার পরিবারকে জানাই এবং বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে আসতে বলি। কিন্তু পাত্তা দেয়নি। গড়িমসি শুরু করে। এ নিয়ে আমার মেয়ের সঙ্গে তানিভের বাক-বিতণ্ডা ও দ্বন্দ্ব-সংঘাতের সৃষ্টি হয়। এরপর বিয়ের জন্য চাপ প্রয়োগ করলে দায় এড়াতে কৌশলে আমার মেয়েকে মোটরসাইকেলে করে মেরিন ড্রাইভে নিয়ে গিয়ে হত্যা করেছে।
ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য টেকনাফ থানার ওসিসহ সংশ্লিষ্টদের নিকট জোর দাবি জানান নিহতের পিতা।
বাদীপক্ষের নিয়োজিত আইনজীবী একরামুল হুদা বলেন, ফারহানা আফরিন শিফা পরিবারের একমাত্র মেয়ে সন্তান। তাকে সুপরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক ও মর্মান্তিক। এতে তার প্রেমিক শহিদুল আমিন আনিভ সরাসরি জড়িত বলে পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছে। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক সুবিচার নিশ্চিত করার দাবি জানাচ্ছি|