সোমবার, অক্টোবর ২, ২০২৩

যাতায়াতের ক্ষেত্রে বড় পরিবর্তনের আশা: উদ্বোধনের জন্য প্রস্তুত ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে

সিসিএন অনলাইন ডেস্ক:

বহুল প্রতীক্ষিত ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে বর্তমান সরকারের বাস্তবায়িত একটি মেগা অবকাঠামো প্রকল্প। যেটি  ঢাকার যানজট এবং যাতায়াতের খরচ অনেকাংশে কমিয়ে আনার বড় আশা নিয়ে আজ চালু হতে চলেছে।

আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাওলা-ফার্মগেট অংশের উদ্বোধন করবেন বলে জানিয়েছেন সড়ক, পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক এএইচএমএস আক্তার বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আজ বিকেল সাড়ে ৩ টায় শেরেবাংলা নগরের পুরাতন বাণিজ্য মেলার মাঠে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এক্সপ্রেসওয়েটির উদ্বোধন করবেন।’

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে আগামীকাল রবিবার সকাল ৬টা থেকে যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

কর্তৃপক্ষ গতি সীমা ঘন্টায় ৬০ কিলোমিটার নির্ধারণ করেছে। তবে এক্সপ্রেসওয়েতে মোটরসাইকেল এবং থ্রি হুইলার চালানোর অনুমতি দেওয়া হবে না।

এটি উন্মুক্ত হলে কাওলা থেকে ফার্মগেট পৌঁছাতে ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার গতির একটি গাড়ির সময় লাগবে মাত্র ১০ মিনিট।

প্রকল্প কর্মকর্তারা বলছেন, প্রতিদিন প্রায় ৮০ হাজার যানবাহন ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে যেতে পারবে।

প্রকল্পের বিবরণ অনুসারে, প্রথম চুক্তিটি  ২০১১ সালের ১৯ জানুয়ারি সই হয়েছিল এবং ২০১৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর সংশোধিত চুক্তি সই হয়েছিল।  প্রকল্পটি সমাপ্তির সময়কাল ছিল প্রথম চুক্তি অনুযায়ী ২০১১ সালের জুলাই থেকে  ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত।

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মোট দৈর্ঘ্য হল ৪৬ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার। এর মধ্যে প্রধান এলিভেটেড অংশের ১৯ দশমিক ৭৩কিলোমিটার।

যাতায়াতের ক্ষেত্রে বড় পরিবর্তনের আশা: আজ উদ্বোধনের জন্য প্রস্তুত ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কাওলা, কুড়িল, বনানী, মহাখালী, তেজগাঁও, মগবাজার, কমলাপুর, সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ী থেকে কুতুবখালীকে সংযুক্ত করবে।

থ্রি হুইলার, সাইকেল এবং পথচারীদের এক্সপ্রেসওয়েতে চলাচল করতে দেওয়া হবে না। মোটরবাইক এখনই চলতে পারবে না।

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে চলাচলকারী যানবাহনকে টোল দিতে হবে, যা চারটি বিভাগে আদায় করা হবে।

সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর-ফার্মগেট অংশের টোল রেট ৮০ টাকা থেকে ৪০০ টাকা নির্ধারণ করে।

ক্যাটাগরি ১-এর অধীনে যে কোনো স্থান থেকে বিমানবন্দর-ফার্মগেট অংশ অতিক্রম করার জন্য গাড়ি, ট্যাক্সি, জীপ, স্পোর্টস ইউটিলিটি ভেহিকল, মাইক্রোবাস (১৬ আসনের নিচে) এবং হালকা ট্রাক (৩ টনের নিচে) টোল রেট ৮০ টাকা।

মাঝারি ট্রাকের জন্য (ছয় চাকা পর্যন্ত) যে কোনো পয়েন্ট থেকে রুট পার হওয়ার জন্য টোল রেট ক্যাটাগরি-২ এর অধীনে ৩২০ টাকা।

ক্যাটাগরি ৩-এর অধীনে যে কোনো পয়েন্ট থেকে রুট পার হওয়ার জন্য ট্রাকের (ছয় চাকার বেশি) টোল রেট ৪০০ টাকা। যে কোনো পয়েন্ট থেকে রুট পার হওয়ার জন্য যে কোনো বাসের (১৬ সীটের বা তার বেশি) টোল রেট ৪-ক্যাটাগরির অধীনে ১৬০ টাকা।

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে বিকল্প উত্তর-দক্ষিণ রুট হিসেবে কাজ করবে। এটি হেমায়েতপুর-কদমতলী-নিমতলী-সিরাজদিখান-মদনগঞ্জ-ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক-মদনপুরকে সরাসরি সংযুক্ত করবে।

অন্যদিকে, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কারণে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল ও পূর্বাঞ্চলের যানবাহন ঢাকায় প্রবেশ না করে সরাসরি উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে প্রবেশ করতে পারবে। এতে রাজধানী শহরের অভ্যন্তরে যাতায়াতের সময় ও যানজট কমবে।

আরও

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সর্বশেষ খবর