মিশু গুপ্ত:
দেশের একমাত্র দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীর চার লক্ষ্যের ও বেশি মানুষের কক্সবাজারে যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম মহেশখালী গোরকঘাটা ঘাট। এই ঘাটে যাত্রী দুর্ভোগ যেন এই উপজেলায় বসবাস করা মানুষের নিত্যদিনের সঙ্গী। ঘাট পরিচালনাকারী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে যাত্রী হয়রানি, মারধর, হেনস্তার এমনকি পর্যটকদের হয়রানি করার অভিযোগ নতুন কিছু নয়।
মহেশখালী ঘাটে যাত্রীদের দুর্ভোগ লাগবের জন্য বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) পাঠানো সরকারি পল্টুন ঘাটে অবস্থান করতে দেয়নি মহেশখালী পৌরসভার মেয়র মকসুদ মিয়ার একদল লোক।
রবিবার ৩০ জুলাই বেলা ১২ টায় বিআইডব্লিউটিএ’র পল্টুনটি মহেশখালী ঘাটে অবস্থান করলে একদল লোক এসে বাঁধা দেয়। এসময় পল্টুনে থাকা বিআইডব্লিউটিএর কর্মকর্তা বাধা দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে ঐলোকেরা মহেশখালী পৌরসভার স্টাফ পরিচয় দিয়ে বলেন, তাদেরকে মহেশখালী পৌরসভার মেয়র মকসুদ মিয়া পাঠিয়েছেন। এই ঘাটে পল্টুন ভিড়ালে মহেশখালী পৌর মেয়র মকসুদ মিয়ার অনুমতি লাগবে বলেও জানান তারা। এটি বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহনের কর্তৃপক্ষের পাঠানো সরকারি পল্টুন বলার পরেও সেখানে অবস্থান করতে দেয়নি তারা।পরে তারা মহেশখালী ঘাটে যাতায়াতকারী যাত্রীদের দুর্ভোগ লাঘবের জন্য পাঠানো পল্টুনটি সাগরে ভাসিয়ে দেয় বলে জানান বিআইডব্লিউটিএর একজন কর্মকর্তা।
এই বিষয়ে মহেশখালী পৌরসভার মেয়র মকসুদ মিয়ার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান,কক্সবাজার ঘাটের মতো পন্টুন বসিয়ে মানুষের কাছ থেকে টোলের নামে টাকা উঠানোর জন্য এটি করা হচ্ছে। মহেশখালী ঘাট কিংবা জেটি কোনোটাই কোনো ভাবেই বিআইডব্লিউটিএ’র ঘাট বা জেটি নয়, স্বাধীনতার পর থেকে এটি কখনও তাদের ছিলো না। এটি মহেশখালী পৌরসভার গেজেটভুক্ত জায়গা।যদি তারা ঘাট নতুন ভাবে পেয়ে থাকে তাহলে সেটি পৌরসভাকে জানাতে হবে, পৌরসভার সাথে বসতে হবে। তারা তা না করে পৌরসভার গেজেট ভুক্ত জায়গাতে অনুমতি ছাড়া পল্টুন বসাতে পারে না।তাই পৌরসভার পক্ষ থেকে পন্টুনটি সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
তবে যাত্রীরা বলছে বিআইডব্লিউটিএ পল্টুন বসাচ্ছে যাত্রীদের ভোগান্তির হাত থেকে রক্ষা করা জন্য। ন্যূনতম টোল প্রদান করতেও কোন সমস্য নাই।
পৌরসভার লোকরে ঘাটের সাথে পল্টুনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ায় পল্টুনটি সাগরে ভাসমান রয়েছে বলে জানা যায়। অনিয়ন্ত্রিত এই পল্টুন সাগরে ভাসমান অবস্থায় জেলেদের জাল নষ্ট করছে এতে জেলেরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন।