রিজন বড়ুয়া:
রামু খিজারী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় কতৃপক্ষের গাফিলতির কারণে একাধিক শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষার প্রবেশ পত্র না পেয়ে আন্দোলন শুরু করে।
শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) চৌমুহনী স্টেশন ও বিদ্যালয়ের সামনে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভে অংশ নেয়। ফলে সৃষ্টি হয় দীর্ঘ যানজট। পরে রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ারুল হোসাইন এসে শিক্ষার্থীদের সাথে সমঝোতা করে পরিস্থিতি শান্ত করেন।
শিক্ষার্থীরা জানান, করোনাকালীন সময়ে বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় রেজিস্ট্রেশন করা হয়নি। স্কুল খোলার পর অষ্টম ও নবম শ্রেণির রেজিস্ট্রেশন একসাথে করে দেওয়ার আশ্বাস দেন বিদ্যালয় কতৃপক্ষ। রবিবার থেকে এসএসসি পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। কিন্তু বিদ্যালয় থেকে তাদের রেজিস্ট্রেশন ও প্রবেশ পত্র দেওয়া হয়নি।
শিক্ষার্থীরা আরও জানায়, এবার পরীক্ষা দিতে না পারলে তাদের পুনরায় অষ্টম শ্রেণি থেকে পাঠ শুরু করতে হবে। বিদ্যালয়ের এমন কর্মকাণ্ড মেনে নিতে পারছেন না তারা। বিদ্যালয় কতৃপক্ষের এমন কর্মকাণ্ডের যথাযথ শাস্তি দাবি করেন তারা।
এ বিষয়ে মুঠোফোনে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নুর আহমদ জানান, সব শিক্ষকদের সঙ্গে আলাপ করে পাশ করার উপযোগী শিক্ষার্থীদের ফরম পূরণ করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। কিছু অনিয়ম ও ভুলের জন্য তিনি বিদ্যালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মফিজুল আলম ও অফিস সহকারী অনু বড়ুয়ার গাফিলতি ছিল বলে জানান তিনি।
এদিকে ২৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়ে বৈঠকে বসেন বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহমিদা মুস্তফা। বৈঠকে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ আমলে নিয়ে শিক্ষাবোর্ডের সাথে যোগাযোগ করেন। কাগজ পত্র যাচাই বাছাই করে ১৬ জন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার বিষয়টি নিশ্চিত করেন তিনি। বাকি ৫ জনের এসএসসি পরীক্ষা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। সেইসাথে তদন্তের মাধ্যমে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান রামুর ইউএনও।