রিজন বড়ুয়া, রামু প্রতিনিধি:
রামুতে উজানের ঢলে বাঁকখালি নদী ও প্লাবিত এলাকার পানি কমেছে। তবে সকাল থেকে মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। রাতে অনবরত প্রবল বর্ষণ হলে বাঁকখালি নদীর পানি বেড়ে আবারও তলিয়ে যেতে পারে।
বুধবার (৯ আগস্ট) দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, রামু উপজেলার একাধিক ইউনিয়নের রাস্তা – ঘাট বন্যার পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে । ফলে জনজীবনে চরম দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাঁকখালি নদীর দায়িত্বরত গেজ লিডার রহুল আমিন জানান, ” বর্তমানে বাঁকখালি নদীর পানি বিপদ সীমার নিচে প্রবাহিত হচ্ছে। বিপদ সীমা ধরা হয় ৫.২৮ মিটার। বর্তমানে নদীতে পানি আছে ৪.০৫ মিটার। পরিস্থিতি এখন শঙ্কামুক্ত যদি রাতে অনবরত বৃষ্টি হলে পানি আসার সুযোগ আছে।”
গর্জনিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান চৌধুরী বাবুল বলেন,” গত তিন- চার দিনের বারিবর্ষণে ৪ হাজার মানুষ গৃহবন্দী ছিল। এখন পানি কমতে শুরু করেছে। বন্যাদুর্গতদের জন্য পরিষদ থেকে ৫ কেজি চাল ও ব্যক্তিগতভাবে ৫০০ টাকা করে দিয়েছি।”
কাউয়ারখোপ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শামসুল আলম বলেন,” বন্যার পানি নেমে গেছে,তবে রাস্তাঘাটের বেশি ক্ষতি হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাঘাট মেরামত করতে হবে”।
বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহমিদা মুস্তফা বলেন, ” গতকাল পর্যন্ত রামুর কয়েকটি ইউনিয়নে পানি ছিল। গতকাল আসরের পর থেকে অনবরত বৃষ্টি না হওয়ার কারণে পানি বেশিরভাগ জায়গা থেকে নেমে গেছে। আজকে এখন পর্যন্ত পরিস্থিতি ভালো”।
প্রশাসন থেকে ত্রাণসামগ্রী দেওয়া হয়েছে কিনা প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন,” জেলা প্রশাসন থেকে ২০০ পরিবারের জন্য ত্রাণ সহায়তা আসছিলো। সেটি গতকালই বিতরণ করা হয়েছে”।