শুক্রবার, জানুয়ারি ২৪, ২০২৫

রামুতে বিজিবির সাথে চোরাকারবারীদের সংঘর্ষ, গুলিতে দিনমজুর নিহত , বিজিবির ৪ সদস্যসহ আহত ৭

সিসিএন রির্পোট:

রামু কাউয়ারখোপে বিজিবির সাথে গরু চোরাকারবারীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে গুলিতে এক দিনমজুর নিহত, বিজিবি সদস্যসহ ৭ জন আহত হয়েছে। ঘটনা টি ঘটেছে ৮ এপ্রিল রাত ৯ টার দিকে কাউয়ারখোপ ইউনিয়নের বাজারের পাশে। এ ঘটনার পর আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে।

এলাকাবাসী জানান কাউয়ারখোপ বাজারের পাশে ডেপারকুল এলাকার মাষ্টার আবদুল্লাহর বাড়ি থেকে ৬ টি গরু জব্দ করে বিজিবি। এই সময় বিজিবির সাথে গরু সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের সাথে দাওয়া পাল্টা দাওয়া হয়,এই সময় ঘটনা স্থলে তিন জন আহত হয়, আহতরা হলেন মধ্যম কাউয়ারখোব এলাকার নুরুল ইসলাম স্ত্রী ছেনুআরা বেগম, মৃত আবুল হোছন,স্ত্রী জনু বেগম,মকবুল আহাম্মদের ছেলে ফয়েজ আহাম্মদ। দাওয়া পাল্টা শেষে বিজিবি গরু নিয়ে পূর্ব কাউয়ারখোপ আসলে আবারও গরু সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের সাথে বিজিবির সংঘর্ষে বাঁধে।

এই সময় উৎসুক এলাকাবাসী ঘটনা দেখার জন্য রাস্তার উপর বের হলে আবদু জব্বার নামে এক দিন মজুর গুলিবিদ্ধ হয়। ঘটনাস্থলে আবদুল জব্বারের মৃত্যু হয়। নিহত ব্যক্তি পশ্চিম কাউয়ারখোপ মৃত জাগের আহাম্মদের ছেলে। নিহত আবদু জব্বারের লাশ নিয়ে যায় নাইক্ষ্যংছড়ি বিজিবি। রামু থানার পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করেন।

এদিকে ৯ এপ্রিল সকালে দেয়া এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে নাইক্ষ্যংছড়ি ১১ বিজিবি জোনের অধিনায়ক ও জোন কমান্ডার লে. কর্ণেল মোঃ রেজাউল করিম জানান, ’নাইক্ষ‍্যংছড়ি ১১বিজিবি টহল দলের উপর চোরাকারবারীদের আক্রমণে চারজন বিজিবি সদস্য গুরুতর ভাবে আহত হয়েছে। ৮ এপ্রিল শনিবার রাতে সীমান্তের চোরাই গরু জব্দ করতে টহল দল পায়ে হেঁটে ক্যাম্পে ফেরার সময় রামু উপজেলার কাউয়ারখোপ নামক স্থানে পূর্ব থেকে ওঁৎপেতে থাকা সংঘবদ্ধ চোরাকারবারী, দুষ্কৃতিকারী ও স্থানীয় সহযোগী সহ প্রায় ২০০ হতে ৩০০ জন লোক দেশীয় অস্ত্র, লাঠিশোঠা ও ইটপাটকেলসহ বিজিবি টহল দলের উপর অতর্কিত হামলা করে শুরু করে। টহলদলের সবাই কমবেশী আহত এবং চার জন সদস্য গুরুতর আহত হয়।

এ সময় টহল দল সরকারী জানমাল রক্ষার্থে এবং আত্মরক্ষার্থে গুলি করতে বাধ্য হলে একজন চোরাকারবারি গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়। এসময় ঘটনাস্থল হতে ১টি দেশীয় একনলা বন্দুক, ১টি ক্রিজ এবং ১টি দা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।

আহত বিজিবি সদস্যকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে মামলা দায়েরসহ অন্যান্য আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।‘

স্থানীয় মেম্বার আবদুল আজিজ জানান, সীমান্তে গরু পাচার বন্ধ করা না গেলে এবং অবৈধ গরু ব্যবসা বন্ধ না করলে এ ধরনের ঘটনা আবারও পুনরাবৃত্তি হবে। তদন্ত পূর্বক দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের নিকট দাবি জানান এলাকাবাসী।

আরও

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সর্বশেষ খবর

error: Content is protected !!