শওকত ইসলাম,রামু:
রামুর গর্জনিয়া ও কচ্ছপিয়া নদী থেকে অবৈধ ড্রেজার মেশিন বন্ধে পৃথক অভিযান পরিচালনা করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফাহমিদা মুস্তফা।
সোমবার (৯ অক্টোবর) সকাল ৯ টা থেকে দুপুর ৩ টা পর্যন্ত অবৈধ বালু উত্তোলনের হটস্পট কচ্ছপিয়া ও গর্জনিয়া বিভিন্ন পয়েন্টে রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফাহমিদা মুস্তফা নেতৃত্বে একটি টিম অভিযান পরিচালনা করেন।
অভিযানে অবৈধভাবে বালি উত্তোলনের গর্জনিয়া ও কচ্ছপিয়া ইউনিয়ন এর ১৬টি স্পটে ৯১০গাড়ি বালু আনুমানিক ৯১০০০সিএফটি বালু জব্দ করা হয়েছে। এছাড়া বালি উত্তোলনে ব্যবহৃত ২০০ফুট পাইপ নষ্ট করা ও ২ টি পাইপ ১ টি ড্রেজার মেশিন জব্দ করা হয়।
গর্জনিয়া ইউনিয়নের থোয়াইঙ্গাকাটা ব্রীজ,দক্ষিণ থোয়াইঙ্গাকাটা তিন রাস্তার মোড়,দক্ষিণ থোয়াইঙ্গাকাটা,পশ্চিম জুমছড়ি,পশ্চিম জুমছড়ি ব্রীজের পূর্ব পার্শ্বে,পশ্চিম জুমছড়ি,দক্ষিণ জুমছড়ি, পূর্ব জুমছড়ি,পশ্চিম জুমছড়ি,রাজঘাট পশ্চিম টেক,রাজঘাট পূর্ব টেক, রাজঘাট দক্ষিণ টেক,কচ্ছপিয়া ছোট জামছড়ি আনসারের দোকান,দক্ষিণ মৌলভীকাটা হান্নানের দোকান।
রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফাহমিদা মুস্তফা জানিয়েছেন, কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের নির্দেশে এ অভিযান চালানো হয়েছে। যে সকল অসাধু ব্যবসায়ী পরিবেশের ক্ষতি সাধন করে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে তাদের বিরুদ্ধে আমাদের জিরো ট্রলারেন্স। তাদের সাথে কোন ধরনের আপোষ নেই। আমি শেষ বারের মতো বলে যাচ্ছি কেউ নদীতে ড্রেজার মেশিন বসাবেন না। ভুমিদস্যুতা এবং পরিবেশের ক্ষতিকর কর্মকান্ড বন্ধে প্রশাসনের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
অভিযানে সময় আরো উপস্থিত ছিলেন গর্জনিয়া ইউনিয়ন ভুমি কর্মকর্তা মোঃ আবুল কাসেম,গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ির আইসি সাইফুল ইসলাম,সাংবাদিক,গর্জনীয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ছৈয়দ নজরুল ইসলামসহ আনসার সদস্যরা অংশ নেন।
কচ্ছপিয়া ও গর্জনিয়া থেকে অবৈধ বালু জব্দ করা নিলামে বালু বিক্রির ৫ লাখ ৭৩ হাজার টাকা সরকারি কোষাগারে জমা করা হয়। জনস্বার্থে ও পরিবেশ সুরক্ষায় অবৈধ বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।