শুক্রবার, জানুয়ারি ২৪, ২০২৫

রোববার পর্যন্ত বন্ধ কক্সবাজার বিমানবন্দর

সিসিএন অনলাইন ডেস্ক:

ঘুর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে শনিবার সকাল ৭টা থেকে রোববার সন্ধ্যা ৭ টা পর্যন্ত কক্সবাজার বিমানবন্দরে উড়োজাহাজ ওঠানামা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর আপাতত খোলার রাখার সিদ্ধান্ত রাখা হলেও আবহাওয়া পরিস্থিতি বিবেচনায় শনিবার দুপুরের পর এটিও বন্ধ করা হতে পারে বলে নিশ্চিত করেছেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এম মফিদুর রহমান।

এম মফিদুর রহমান বলেন, ‘আপাতত কক্সবাজার বিমানবন্দর বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়েছে। চট্টগ্রামের পরিস্থিতি আমরা দেখবো। আশা করছি সকালে আবহাওয়া ভালো থাকবে। তবে পরিস্থিতি বিবেচনায় দুপুরের পর এটিও বন্ধ করা হতে পারে।’

কক্সবাজার বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক গোলাম মর্তুজা হোসেন ইনডিপেনডেন্টকে বলেন, ‘শনিবার সকাল ৭টা থেকে রোববার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত বিমানবন্দর বন্ধ থাকবে। এরপর আবহাওয়া পরিস্থিতি বিবেচনায় পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’

অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে কক্সবাজার, চট্টগ্রাম ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে চলতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এছাড়া মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারী সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস বলছে, উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরেও ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৮ থেকে ১২ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ু তাড়িত জলোচ্ছাসে প্লাবিত হতে পারে বলেও সতর্ক করা হয়েছে পূর্বাভাসে।

ঘূর্ণিঝড়টির সবশেষ অবস্থান হিসেবে পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এটি শুক্রবার সন্ধ্যা ৬ টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩০ কি.মি. দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৬০ কি.মি. দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৯০ কি.মি. দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৫৫ কি.মি. দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল।

এটি আরো উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে রোববার সকাল ৬ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টার মধ্যে কক্সবাজার-উত্তর মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম করতে পারে বলে বলা হয়েছে পূর্বাভাসে।

শনিবার সন্ধ্যা থেকে কক্সবাজার ও তৎসংলগ্ন উপকূলীয় এলাকায় অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’-এর অগ্রভাগের প্রভাব শুরু হতে পারে বলেও ধারনা করছে অধিদপ্তর।

অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কি.মি. এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৪০ কি.মি., যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১৬০ কি.মি. পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই বিক্ষুদ্ধ রয়েছে।

ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশ ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫ থেকে ৭ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ু তাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে পূর্বাভাসে।

আরও

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সর্বশেষ খবর

error: Content is protected !!