কফিল উদ্দিন, নাইক্ষ্যংছড়ি প্রতিনিধি:
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের প্রস্তুতি হিসেবে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্তের বাংলাদেশ-মিয়ানমার মৈত্রী সেতুর পার্শ্ববর্তী স্থানে একটি সাময়িক ট্রানজিট ক্যাম্প ও একটি প্রত্যাবাসন/রিপ্যাট্রিয়েশন ক্যাম্প নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
প্রত্যাবাসন শুরু হলে মংডু জেলার উত্তর-পশ্চিমের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা সীমান্তসংলগ্ন এলাকা থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের ঘুমধুমের তুমব্রু সীমান্ত দিয়ে ফেরত পাঠানো হবে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে দুটি অস্থায়ী শিবির নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ। তিনি বলেন , ইতিমধ্যে শিবির দুটি নির্মাণে দরপত্রও আহ্বান করা হয়েছে।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রোমেন শর্মা এ বিষয়ে বলেন, নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নে সাময়িক বিশ্রাম ও প্রত্যাবাসন শিবিরের জন্য আরআরআরসি থেকে সাড়ে তিন একর জায়গা চাওয়া হয়েছে। রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর সময় সাময়িক অবস্থানের জন্য ঘুমধুমে ২০ শতক জমির ওপর সাময়িক বিশ্রাম শিবির করা হবে। সীমান্তসংলগ্ন তুমব্রুতে ৩ দশমিক ২০ একর জমির প্রত্যাবাসন শিবির হবে।
কক্সবাজারের শরণার্থী প্রত্যাবাসন কমিশনের কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমার বলেন, প্রত্যাবাসন শুরু হলে রোহিঙ্গাদের প্রথমে ঘুমধুমের সাময়িক বিশ্রাম শিবিরে নেওয়া হবে। সেখান থেকে প্রত্যাবাসন শিবিরে নিয়ে দুই দেশের দাপ্তরিক কাজ সম্পন্ন করে মিয়ানমারে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
৪৩ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল আবু বকর সিদ্দিক সাইমুম জানান আগামীকাল ১০ সেপ্টেম্বর সকাল ১০ টায় মায়ানমারের বিজিপির সাথে পতাকা বৈঠকের পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
প্রসঙ্গত, মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর বর্বরতার শিকার হয়ে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে ২০১৮ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের রোহিঙ্গারা সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়। তাদের স্বদেশে ফিরে যাওয়ার ব্যাপারে সম্প্রতি আলোচনা শুরু হয়েছে। আরআরআরসির দপ্তরের হিসাবমতে, কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের আশ্রয়শিবিরে বর্তমানে ৯ লাখ ৬১ হাজার ৭২৯ জন রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়ে রয়েছে।